সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
দুর্নীতির মহা উৎসব চলছে মিজমিজি পশ্চিম পাড়া হাজী আব্দুল ছামাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু তাহের ভূইয়া ও কমিটির কিছু সদস্য ভোগ করছে মাদ্রাসার অর্থ ও সম্পদ। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এবিষয়ে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাজী আঃ ছামাদ।
এলাকাবাসীর দাবী ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিকারিদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে মাদ্রাসাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার। নিজের হাতে গড়া এই মাদ্রাসার উন্নয়নে জীবনের পুরো সময় , অর্থ ও সম্পদ দিয়ে তিলে তিলে এই পর্যায়ে নিয়ে আসেন আঃ ছামাদ।
কিন্তুু এর বিপরিদে তাকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করছে কমিটি। প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রীর এই মাদ্রাসায় বেতনের মাধ্যমে প্রতি মাসে আয় হয় ৩ লক্ষাধীক টাকা। বহুদিন যাবৎ এই অসাধু চক্র অত্র মাদ্রাসার ফান্ডের কোটি কোটি টাকা তছরুফ করছেন।
প্রতি বছরই মাদ্রাসার ফান্ডের উদ্বৃত্ত অর্থ ভূল অডিট দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা প্রিন্সিপাল আবু তাহের ও কমিটির কয়েকজন হাতিয়ে নিচ্ছেন । যার অবদানে অত্র আলিম মাদ্রাসা, হেবজ খানা, মহিলা মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হলো তাকে সব কিছু থেকে আড়াল করে দখলের মহা উৎসব চলছে এখন।
এতেই খান্ত হয়নি আবু তাহের গংরা, বর্তমানে তারা পায়তারা করছে মাদ্রাসা সংলগ্ন হাজী আঃ ছামাদের ব্যক্তিগত ৯২ শতাংশ সম্পদ দখলের। আঃ ছামাদকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে এই সম্পদ দলিল করে দিতে চাপ দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইতিমধ্যে তারা ঐ ৯২ শতাংশ ভূমির সাইনবোর্ড লিখে রেখেছেন। যা বর্তমানে প্রিন্সিপাল আবু-তাহেরের অফিস কক্ষে রাখা আছে।
উল্লেখ্য ১৯৮৫ সালে নিজের অর্থে হাজী আব্দুল সামাদ নিজ ভূমিতে প্রতিষ্ঠা করেন এই মাদ্রাসা। এবং ২১ এপ্রিল ১৯৮৬ ইং সনে তিনি ও মোঃ ইদ্রিছ আলী মাদ্রাসার জন্য ৩০ শতাংশ জমি সাব-কাবলা দলিলে ওয়াকফ করে দেন কমিটির নামে। এরপর আঃ ছামাদ আলাদাভাবে জমি দান করেন হেবজ খানা, এতিম খানা ও মহিলা মাদ্রাসার জন্য ১০ শতাংশ এবং বায়তুন-নুর জামে-মসজিদের জন্য ১০ শতাংশ।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এ সকল ইসলামিক বিদ্যাপিঠ প্রতিষ্ঠা করতে তিনি এযাবৎ নিজের ১৬ বিঘা সম্পদ বিক্রি করেছেন। শুধু তাই নয় প্রতি মাসে এতিম খানার ১১০জন ছাত্রের খাবার খরচ, বিদ্যুৎ বিল ও গ্যাস বিলও তিনিই বহন করছেন।
আঃ ছামাদের সরল তার সুযোগে প্রিন্সিপাল আবুতাহের ও কমিটির কিছু সদস্য সকল প্রতিষ্ঠানকে একত্রে আনার চেষ্ঠা করছেন। এটা করতে পারলে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য শত ভাগ পূর্ণ হবে। কিন্তুু এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠাতা হাজী আঃছামাদ চায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সতন্ত্র থাকলেই ভালো হবে।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবু-তাহেরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তার কাছে জানতে একাধিকবার মোবাইলে কল করলেও তিনি ধরেন নি।
এ বিষয়ে এডিসি (শিক্ষা) জনাব মোঃ রেজাউল বারী বলেন আমি দ্রুত মিজমিজি পশ্চিম পাড়া হাজী আব্দুল ছামাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা পরিদর্শনে যাব। প্রয়োজনে সকল অভিযোগ ঘতিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।