নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ( ৫০ বছর) উপলক্ষ্যে শনিবার ( ৬ মার্চ) রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়ায় আল আরাফা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও চনপাড়া শেখ রাসেলনগর (প্রস্তাবিত) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত ( ২০২০) নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জাহেদ আলী, ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসূফ আলী।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে সমগ্র বাঙালি জাতি মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর আমরা বাঙালিরা যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। তারপর বঙ্গবন্ধু ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীন ঘোষণা দেয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। ৭ মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি সারা বিশ্বের নেতা। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসির একটি সম্পদ। পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের কন্ঠস্বর। যেখানেই অন্যায় অবিচার ছিলো সেখানেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছেন।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, স্বাধীনদেশে ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে কায়েতপাড়াবাসী পরাধীনভাবে বসবাস করছে। ভূমিদস্যুদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে কায়েতপাড়াবাসীর সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই আমরা ভূমিদস্যুদের পরাজিত করতে পারব। শোষক এবং ভূমিদস্যুরা বঙ্গবন্ধুর শত্রু ছিলো।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চনপাড়াবাসী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চনপাড়া শেখ রাসেলনগর ইউনিয়ন মহিলালীগের সভাপতি নাজমা খান, চনপাড়া শেখ রাসেলনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
জানা গেছে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে দিনব্যাপী এক হাজার দুঃস্থ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এ সময় ৪০০ জনের ডায়াবেটিকস টেষ্ট ও ৫০০ জনের ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং নির্ণয় করা হয়।