আজ রবিবার, ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় রূপগঞ্জ থানা ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাফন মিছিল

সাংবাদিকদের কাফন মিছিল

সাংবাদিকদের কাফন মিছিল

 

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি:
পুলিশের উপস্থিতিতে সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও নামধারী ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হত্যার হুমকির মুখে কর্মরত সাংবাদিকরা রূপগঞ্জ থানা ভবনের সামনে কাফন মিছিল করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ‘রূপগঞ্জের ৭০ জন সাংবাদিক এখন জিন্দা লাশ’ স্লোগানে এ কাফন মিছিল করেন হুমকির মুখে থাকা বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয়, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এসময় তারা ৭০ জন সাংবাদিকের নিরাপত্তা চেয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক খলিল শিকদার জানান, গত ০৫ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল ফাতে মোঃ সফিকুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ঢাকা ভিলেজ নামক একটি আবাসন প্রকল্পের দখলে থাকা প্রায় ১৮ বিঘা সরকারী অর্পিত সম্পত্তি উদ্ধার করেন প্রশাসন। আর ওইসব সরকারী সম্পত্তি রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাসুম চৌধুরী অপু বালু ভরাট করে জবরদখল করে দিয়েছিলো ওই আবাসন প্রকল্পকে। এ বিষয়ে গত ০৬ মে সরকারী অর্পিত সম্পত্তি বালু ভরাট করে জবরদখল নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাসুম চৌধুরী অপুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এর জের ধরেই ওই দিন দুপুরে মাসুম চৌধুরী অপু ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয়দানকারী হাফিজুর রহমান সজীবের নেতৃত্বে তাদের একটি বাহিনী নিয়ে একজন পুলিশ সদস্যসহ রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন স্লোগানে শসস্ত্র হোন্ডা মহড়া দেয়। পরে প্রেসক্লাবে ঢুকেই প্রথমে উপস্থিত কর্মরত ৩৭ সাংবাদিককে দেখে নেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এছাড়া এসব ব্যপারে সামনে বাড়াবাড়ি করলে গুলি করে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। ঘটনার সময় রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানকে বিষয়টি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়েছিলো। এ ধরনের হুমকির মুখে উপস্থিত সাংবাদিকরা আতঙ্কিত হয়ে উঠে। ওই সময় পুলিশ সদস্য’র উপস্থিতিতেই বিবাদী মাসুম চৌধুরী অপু ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয়দানকারী হাফিজুর রহমান সজীব বলেন, ওসি’সহ থানা পুলিশতো আমাদের পকেটে। যেদিন ধরমু খাইয়া ফালাইমু। তোদের একেক জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ১০টি করে মামলা দিমো।
প্রায় পৌনে এক ঘন্টা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অবস্থানের পর তারা পুলিশের সামনেই হুমকি-ধামকি দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। এ ধরনের হুমকির আতঙ্কিত সাংবাদিকরা প্রাণের ভয়ে প্রেসক্লাবে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে আসেন। এখনও সাংবাদিকরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। হত্যার ভয়ে প্রেসক্লাবে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেননা তারা। মুলত সাংবাদিকরা এখন জিন্দা লাশ। যে কোন সময় সাংবাদিকরা মামলা হামলা বা হত্যার শিকার হতে পারে। এখন প্রেসক্লাবের ৭০ জন সাংবাদিক জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, আমাদের বোদগম্য নয় একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী কিভাবে পুলিশ প্রহরায় ঘুরে বেড়ায়। এ বিষয়টিতে আমরা বিস্মিত হয়।