আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকার মাওলানা সাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সরকার

সরকার

টি.আই.আরিফ:

বিশ্ব ইজতেমার  আর মাত্র একদিন বাকী দু পক্ষের দ্বন্দ্ব যেন বেড়েই চলছে।হিংসা কাকে বলে তা চরমে দেখা দিয়েছে।সরকার দু পক্ষ কেই এক কাতারে আনার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

মাওলানা সাদের বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালেও কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করে তাবলিগ জামাতের একাংশ। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন যে  সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। ইজতেমায় মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর যোগ দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে তাবলিগের মুরব্বিদের ওপর। সরকার আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখভাল করবে।

বিষয়টি নিয়ে তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও বৈঠক শুরু হয়েছে।

তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মাওলানা সাদ তার বয়ানে মুসা (আ.) সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তাকে ‘গুমরাহ’ বলে ফতোয়া দিয়েছে ভারতের দেওবন্দ দারুল উলুম।

ভারতীয় উপমহাদেশের সব কওমি মাদ্রাসা দেওবন্দের আদর্শে পরিচালিত হয়। দেওবন্দের ফতোয়ায় বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার আলেম-ওলামারাও সাদ কান্ধলভির বিরোধিতা করছেন।

তাবলীগের শীর্ষ পরামর্শ সভা থেকে সাদ কান্ধলভিকে ইজতেমায় অংশ না নেয়ার অনুরোধ করা হলেও বুধবার দুপুরেই তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান।

তখনই বিমানবন্দর এলাকায় তাবলীগের একাংশের অবস্থান নেয়ার কারণে ইজতেমার মাঠে না গিয়ে কাকরাইল মসজিদে যান মাওলানা সাদ।

এর আগে সোমাবরও তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আগে গত ২৯ অক্টোবর মন্ত্রীর বাসায় দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ