আজ সোমবার, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সদর মডেল থানায়  ১ জিডি ১ হাজার !

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
পেশায় রিক্সা চালক ও দিন মজুর। ছোট বোন সরকারি ভাবে প্রবাসে গিয়ে একটি গার্মেন্টে চাকুরি করেন। সেই বোন ভাইকে স্বপ্ন দেখায় বিদেশ গমণের। এরপর থেকেই সেই স্বপ্ন তাড়া করে তাকে। এরই মধ্যে পাসপোর্ট করেন। সেই পাসপোর্টটিই হারিয়ে গেলে যান সদর মডেল থানায় জিডি করতে। কর্তব্যরত এমসআই সাফ জানিয়ে দেন, ১ হাজার টাকার নীচে জিডি হবে না। বাধ্য হয়ে তা দিতে হয় ওই রিক্সাচালককে। গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী জানান, এএসআই ১ হাজার চাইলে তিনি প্রথমে ৫শ’ টাকার কথা বলেন। কিছুক্ষন থানায় অবস্থান করে জিডি করতে না পেরে ৮ শ’টাকায় করার অনুরোধ করেন। কিন্তু মন গলেনি ওই পুলিশ অফিসারের। পরে বাধ্য হয়ে তার কথায় রাজি হতে হয় রিক্সাচালককে। ১ হাজার টাকা পেয়ে খুশী মনে পকেটে পুরেন দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার।
ওই রিক্সা চালক পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কান্নাজড়িত কন্ঠে দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানায়, ২ দিনের কাজের মজুরি ১ হাজার টাকা দিয়ে ১ টি জিডি করতে হয়েছে। প্রথমে ৫ শ’টাকার কথা বলে উত্তর না পেয়ে ৮শ’টাকায় করার অনুরোধ করি। কিন্তু পুলিশ ১ হাজারের কম হবে না বলে জানালে বাধ্য হয়ে ১ হাজার টাকায় জিডি করেছি। একই সময়ে জন্ম নিবন্ধন হারানোর জিডি করতে আসা এক ব্যক্তি ১শ’ দিলে তার সাথে খারাপ আচরণ করে ওই ডিউটি অফিসার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন এ এস আই এমরান ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ এস আই এমরান দৈনিক সংবাদচর্চা জানান, আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। আর কারো সাথে খারাপ আচরণ করিনি।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করতে কোন টাকা লাগে না। বড় করে সাইনবোর্ড দেয়া রয়েছে তার পর যদি কোন অফিসার টাকা চায় তবে আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য উল্লেখ রয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান ওসি।