স্টাফ রিপোর্টার:
স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন গোলাম ফারুক খোকন। ছিলেন ছাত্রদলের নেতৃত্বে। ক্লিন ইমেজের পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয়তার পুরস্কার স্বরুপ নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল তার কাঁধে। অতঃপর ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এবং ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদে। জেলা বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বে বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামগুলোতে সক্রিয় ও প্রাণবন্ত থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অধিনস্থ প্রতিটি ইউনিট কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রতিটি কর্মসূচি সফল ও সার্থক করে তুলেছিলেন। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হিসেবে কার্যকরি ভূমিকা পালন করেছেন এমনকি ৫ আগস্টের পরও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পালনে অধিনস্থ নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি দুর্বৃত্তদের হামলা ও নাশকতা রোধেও ছিলেন সচেষ্ট। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল এই নেতাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে একটি মহল। ওই মহলটি কেন্দ্রীয় নেতাদের বরাত দিয়ে মিথ্যাচারও চালিয়েছেন। তবে, সেই ষড়যন্ত্র ধোপে টিকেনি বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। তার ভাষ্য, ষড়যন্ত্রকারীদেরকে ইতিমধ্যেই জবাব দিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গোলাম ফারুক খোকনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের বিষয়ে যেই প্রচার চালানো হয়েছে, তা রুহুল কবীর রিজভীর সাক্ষর জালিয়াতি করে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে রুহুল কবীর রিজভী নিজেই বিবৃতি দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’ নামে একটি পেইজ থেকে ছবি আপলোড করে সেখানে উল্লেখ করা হয়; ‘বসুন্ধরার চেয়ারম্যানের সাথে গোলাম ফারুক খোকনের গোপন বৈঠক হয়েছে।’ এই সংক্রান্ত একটি পত্রিকার কাটিং ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী’র সাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশও আপলোড করা হয়েছে। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি অঙ্গণে তোলপাড় শুরু হয়।
অতঃপর একই দিনে বিএনপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন রুহুল কবীর রিজভী। ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এই মর্মে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, কোন স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল আমার স্বাক্ষর জাল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পোষ্ট করে। ফেসবুকে পোষ্টকৃত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রেস বিজ্ঞপ্তি আমার স্বাক্ষরে বিএনপির দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়নি। এটি সম্পূর্ণরুপে বানোয়াট ও ভুয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমার স্বাক্ষর জাল করে প্রচারিত ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়ে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এদিকে, এমন অপপ্রচারের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম ফারুক খোকন দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, ‘এগুলো যে ষড়যন্ত্র তা আয়নার মত পরিস্কার। ষড়যন্ত্র থাকবেই। হয়তো কেউ আমাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্ট হিসেবে দেখছেন এবং ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আমি তো নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে দুদ-ভাত নেতা না। আমি রাজপথে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেরও থাকবো। যারা রাজপথে ছিলো না। আন্দোলন সংগ্রামে ঘরে বসেছিল, যারা দলের কেউ না এবং দলে যাদের কোনো পদপদবীও নেই- তারাই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’
গোলাম ফারুক খোকন বলেন, ‘জেলা বিএনপির মেয়াদকাল এখনো আছে। মেয়াদ শেষ হলে তখন দলের নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিবে। কিন্তু কেউ যদি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এবং বাহির থেকে দলে ভাঙন ধরাতে চায়, তারা আওয়ামী লীগের দোসর। তারা বিএনপিকে দূর্বল করতে চায়। কিন্তু তারা সফল হবে না ইনশাআল্লাহ।’
জানা গেছে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গোলাম ফারুক খোকন তার নিজ এলাকা রূপগঞ্জ বিএনপিকেও ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করণে কাজ করে যাচ্ছেন। বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুর নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরীতে বিশেষ ভূমিকাও রাখছেন তিনি।