আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বিশেষ প্রতিবেদক;

করোনার সংক্রমন রোধে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধ বাড়ানো হয়েছে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে সকল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। একই সাথে বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টারগুলো। তবে অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেয়া দিয়েছে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়। মন্ত্রনালয় থেকে জানানো হয়, চলতি বছর সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা নেয়া না হলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। একই সাথে বাতিল করা হয়েছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা।

করোনার সংক্রমন রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে কওমি মাদরাসাগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এসকল একাধিক বিষয় নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকা স্বত্বেও সকল প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পড়ালেখার ক্ষতি করাটা অনুচিত। আবার পেশাজীবীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারলেও শিক্ষকরা নিজেদের কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। এতে করে দিনে দিনে বেতন ভাতা না পাওয়ার সারি দীর্ঘ হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ তার ফেইসবুক ওয়ালে জানান, দ্রুত স্কুল খুলে দেয়া প্রয়োজন। বাচ্চাদের চরম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে বন্ধের কারনে। তারা ড্রাগ এডিক্টেডের মত ডিভাইস এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার ছাড়া তাদের কোনভাবেই চলছে না। পড়াশোনাতেও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। স্কুল কলেজ খুলে দেয়া উচিৎ যারা বাচ্চাদের স্কুলে দিতে ভয় পায় তারা দেবেনা, যারা ভীত নন তারা পাঠাবে।

তার এমন কথার সমর্থনে অনেক অভিভাবককেই একমত হতে দেখা যায়, তবে বিপক্ষেও মত দিয়েছেন কেউ কেউ। রেহেনা মাসুদ নামে এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চারা ডিভাইস এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছে এটি সত্য কিন্তু যেসব বাচ্চারা সাধারণ স্কুলে পড়ে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মেনে চলা সম্ভব? তাছাড়া বড়রাই যেখানে সচেতন নয় সেখানে বাচ্চারা কিভাবে সচেতন থাকবে। নিজের জীবনের চাইতে কোনকিছুই গুরুত্বপূর্ন নয়।

জুনায়েদ ইসলাম নামে এক শিক্ষক সংবাদচর্চাকে বলেন, আমরা যারা শিক্ষকতা পেশার সাথে যুক্ত রয়েছি তারা সবচেয়ে ক্রান্তিকাল পাড় করছি। শিক্ষকরা তাদের সন্মান নিয়েই বেঁচে থাকে। এই করোনাকালে অধিকাংশ মাস বেতন পাননি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা। প্রতিষ্ঠানগুলোও লোকসান গুনছে। এমন অবস্থায় ছুটির সময় বাড়ানো আমাদের জন্য খড়ার ঘা হয়ে উঠেছে। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কিছুই বলার নেই। কিন্তু আমাদেরকেও কেউ দেখছে না।