আজ বুধবার, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘শামীম ওসমান সবার হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে’

স্টাফ রিপোর্টার:
হত্যা নির্যাতন মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বৈরশাসক তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জেলা বিএনপর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
তিনি বলেন, গত ষোল বছর পুলিশ দিয়ে গুলি চালিয়ে আন্দোলন দমন করতে চেয়েও পারেনি। ছাত্র জনতার বুকে নির্মম গুলি চালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ৫আগস্ট বোনকে নিয়ে স্বৈরশাসক হাসিনা পালিয়ে গেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েও আমরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাইনি। আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছি।
শুক্রবার বিকেলে এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই কথা বলেন তিনি।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, এখানে একজন গডফাদার ছিলো। ৫ আগস্ট সেও পালিয়েছে। তিনি কিন্তু তার কোনো কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে করে নেননি। এবার আপনারা ভেবে দেখুন আপনারা এতদিন কার সঙ্গে ছিলেন। আমরা কখনও দেশ ছেড়ে যাইনি। কখনও যাবো না।
তিনি বলেন, যারা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষ যাকে ভালেবাসবে সেই বিএনপি নেতা হবে। এখানে শামীম ওসমান রাজনীতি করেছেন, অনেকের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। আমি কারো হাতে একটি লাঠিও তুলে দিবো না। কোনো সন্ত্রাসীর ঠাঁই বিএনপিতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন অস্ত্র খুঁজে পায় না। তাদের বলবো দৈনিক পত্রিকাগুলে দেখুন। সেখানে দেখেন কারা অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কারা গুলি করেছিলো। সেসব অস্ত্র উদ্ধার করুন। নয়তো মানুষের কাছে আপনাদের ইমেজ পুনরুদ্ধার হবে না। আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হবেন।
তিনি বলেন, বিএনপিতে নতুন করে কাউকে আমদানি করতে হবে না। কারো অত্মীয় স্বজন যদি আওয়ামী লীগ করে তাকে যদি সাপোর্ট করতে চান তাহলে আপনাকেও ছাড় দেয়া হবে না। আমি যতদিন এই দায়িত্বে থাকবো ততদিন পর্যন্ত এমন কোনো অনৈতিক কাজে কেউ জড়িত থাকলে তাকে ছাড় দিবো না।
থানা পুলিশ যেন দালালের আখড়া না হয় সেদিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে গিয়াসউদ্দিন বলেন, বিগত সময় স্বৈরশাসকের কারণে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে গিয়েছে। আমরা পুলিশকে সাহায্য করতে চাই। সেকারণে আপনাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আবারও যদি আপনারা ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত থাকেন, মানুষের সেবা না করেন তাহলে মানুষ আপনাদের আবারও দূরে সরিয়ে দিবে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ টেক্স দেয়া হয় এই ফতুল্লা থেকে। ফতুল্লা একটি শিল্প অধ্যুষিত এলাকা। কিন্তু সেভাবে এই এলাকার উন্নয়ন হয়নি। আমারা চাই এই এলাকাকে সিটির অন্তর্ভুক্ত করে এই এলাকার উন্নয়ন করতে হবে।
কোনো ভাইয়ের রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্লোগান হবে একমাত্র জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের। রাজনীতি করতে হবে তাদের। আমার ছবি দিয়ে কেনে ব্যানার ফেস্টুন করবেন না। এসব দেখলে মানুষ ভয় পায়। আপনাকে যদি মানুষ ভয় পায় তাহলে আপনি যত বড় নেতা হোন তাকে সঙ্গে নেয়া হবে না। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মাহমুদুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নাজির আহাম্মেদ নাজির, আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাসান আলী, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. আক্তার খন্দকার, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল ইসলাম রতন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ।