বন্দর প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে ২/১টা জামায়াতের পত্রিকা রয়েছে। রাজাকারদের পত্রিকায় সংবাদ এসেছে বন্দরে আওয়ামীলীগ শেষ হয়ে গেছে। আমি ওই সকল পত্রিকার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারদের জানাতে চাই আজকের জনসভা আওয়ামীলীগের জনসভা নয়। এই সভা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি সভা। প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী এই সভায় এসে প্রমান করেছে বন্দরে মাটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটি।
তিনি আরো বলেন, আমরা দূর্বল না । আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। আমি আমার বড় ভাই সেলিম ওসমানের শক্তি বৃদ্ধি করতে এখানে আসিনি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাদের অনেক সম্মান দিয়েছে। আমাদের তিন পুরুষ এমপি হয়েছে। আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। আমরা সাধারন মানুষের খেদমত করতে চাই। আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি। বন্দরে নাকি আওয়ামীলীগের কর্মী নাই। আজকে এই অনুষ্ঠানে এতো মানুষ প্রমান করে দিয়েছে কথাটা কতোটা মিথ্যা। অনেকে ভাবতে পারে আমি এখানে আমার ভাই সেলিম ওসমানের শক্তি বৃদ্ধি করতে আসছি। আমি বন্দরে সেলিম ওসমানের শক্তি বৃদ্ধি করতে আসি নাই। আমি সেই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি যে ১৬ জুন বোমা হামলার পরেও পিছিয়ে যাই নাই।
মঙ্গলবার বিকেলে ৪টায় বন্দর খানবাড়ী মোড়স্থ মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক জন সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশীদ।
শামীম ওসমান বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আপনারা আগামীতে ক্ষমতায় আসবেন না। কারন খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাত করে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া আপনাদের কাউকে বিশ্বাস করে না। তিনি বিশ্বাস করেন তথা কথিত সুশিল কুশিল সমাজের ব্যাক্তিদের। যাদের নামের আগে ডক্টর সহ অনেক উপাধী আছে। তিনি যদি আপনাদের বিশ্বাস করত তবে দলের দায়িত্বভার আপনাদের উপর দিত। তিনি তা না করে উনি দায়িত্ব দিলেন তার ছেলে তারেক রহমানকে যিনি থাকে লন্ডনে। তার জন্য আমার অনেক মায়া লাগে।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল প্রধান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন মৃধা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা কাজী জহির, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার প্রধান, বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাছুম আহাম্মেদ, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাকসুদ রহমান, মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ সালামসহ আওয়ামীলীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।