আজ মঙ্গলবার, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যে সড়কে মানুষ চলতে পারে না

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় সদর উপজেলার উত্তর চাষাঢ়ার চানমারী ও ইসদাইর রাবেয়া স্কুলের সামনের সড়কে বছর জুড়েই পানি থাকে। আরসিসি ঢালাই সড়ক হলেও এখান দিয়ে চলাচল করতে পারছে না মানুষ। এ সড়কের পাশে একটি ভবনে একাধিক সরকারী অফিস রয়েছে। এসব অফিসে আসা যাওয়া করতে বিপাকে পড়তে হয় লোকজনকে। তাদের অভিযোগ, দুর্গন্ধময় পানি ও কাদা থাকায় এ সড়কে রিকশা চালকও আসতে চায় না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইসদাইর রাবেয়া স্কুল থেকে চানমারী আর্মী মার্কেট পর্যন্ত সড়কটি কাদামাখা পানিতে ভরা। বেশ কিছু জায়গায় গর্ত ও খানাখন্দও রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, এ রাস্তা সংস্কার করে আরসিসি ঢালাই করা হলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়নি। এতে করে রাস্তাতো ব্যবহার করা যাচ্ছেই না উল্টো আশপাশের বাড়িতে থাকা দায় হয়ে গেছে। এ এলাকায় কোন ভাড়াটিয়াও থাকতে চায় না। স্থানীয়দের মতে, জন প্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের ভাবা উচিৎ ছিলো রাস্তা করার পূর্বে প্রথমে ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা করা। তারা তা না করে তাদের মতো করে রাস্তা তৈরি করেছে। এখন বৃষ্টি হলেও পানি জমে আবার বৃষ্টি না হলেও পানি জমে থাকে। বারো মাস এই রাস্তায় পানি থাকায় বিপাকে পরতে হয় সাধারণ মানুষকে। এ রাস্তায়ই মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা ভবনে একাধিক সরকারী বেসরকারী অফিস রয়েছে। এ রাস্তার পাশে ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও ইসদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। অফিস ও স্কুলে যেতে হলে পানি মাড়িয়ে যেতে হয়। আর এতে চরম বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ সমস্যা দীর্ঘ দিনের হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন সুরাহা করছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এই সড়কটি থেকে একটু সামনে গেলেই ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সড়ক। স্থানীয়রা জানান, নাসিকের সড়কটি ইউনিয়নের সড়কের চেয়ে ৩ ফুট নীচু। এতে করে এ সড়কের পানি সরতে পারে না।
এ বিষয়ে জানতে দৈনিক সংবাদচর্চা অফিস থেকে মুঠোফোন করা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলমকে। তিনি বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তায় পানি জমে যায় তথা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আমরা সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি, তাদেরকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। কিন্তু পানি জমে গেলে তা কোথায় ফেলা হবে সেই জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সড়ক সংস্কারের উপায় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সেখানে সেনাবাহীনির একটা জায়গা আছে আমরা সমাধানের অংশ হিসেবে ওই জায়গাটা বেছে নিলেও তাদের সাথে কথা বলতে পারিনি। তিনি বলেন মূলত, এলাকাবাসী ও সেনাবাহীনির সাথে একত্রে বসে পানি নিষ্কাশনের জায়গা প্রথমে খুজঁতে হবে। এ বিষয়ে জানতে ফতুল্লা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপনকে একাধিকবার মুঠোফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।