সংবাদচর্চা রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয় এখনো ঠিক হয় নি। তবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখনই লবিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করছে নারায়ণগঞ্জে। বিএনপির প্রার্থীরা কেউ গোপনে আবার কেউ প্রকাশ্যে তাদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। প্রার্থীদের শুভাকাঙ্খীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন গঠিত। জাতীয় ভাবে এ আসনটির মনিটরিং করা হয়। এখানে আ.লীগ- বিএনপি রয়েছে শক্তিশালী ভোট ব্যাংক।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আগমী নির্বাচনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন ও শাহ আলম ইতোমধ্যে মনোনয়ন লড়াইয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়ছেন।
বিএনপির একাধিক সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে রয়েছে।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে চাঙ্গা করে রেখেছেন।বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিনি রাজপথে সর্বদা কর্মীদের পাশে থাকছেন।ইতোমধ্যে তার নামে একাধিক মামলা হয়েছে। মামলায় কারাভোগ ও করেছেন। যার জন্য তিনি দলীয় হাইকমান্ড সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সু-নজরে রয়েছেন।
সাবেক আ.লীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন ২০০১ সালের নির্বাচনের ২১ দিন আগে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ সভাপতির পদ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শামীম ওসমানকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
গিয়াসউদ্দিনের নামে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সময় সরকারি দলের সাথে আতাতের ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির দুঃসময়ে তাকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
এবার নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন চাইলেও স্বস্তিতে নেই বিএনপির শাহ আলম ও গিয়াসউদ্দিন। তারা মামলার ভয়ে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে অনেকটা আত্নগোপনে রয়েছে। তাদের তৃণমূলের নেতা কর্মীরা হতাশ হয়ে অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বলয়ে ভিড়তে শুরু করছে।
এছাড়া একাধিক সুত্রে জানা যায় গিয়াস উদ্দিন ও শাহআলম অনানুষ্ঠানিক ভাবে রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জানা গেছে সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। তিনি কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে দাড়াচ্ছেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শাহ আলম পরাজিত হন। এবারের নির্বাচনে তার নাম প্রথমে শুনা গেলেও এখন আর যাচ্ছে না। মাঠেও দেখা যাচ্ছে না শাহ আলম কে।
কল্যাণ পাটি থেকে বিএনপিতে আসা শাহ আলম বিভিন্ন সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শাহিনা ইসলাম মুক্তির সাথে উচ্চ বাকবিতান্ডায় জড়িয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, হারানো আসন ফিরে পেতে দলীয় কোন্দল মেটাতে আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে কাজে লাগাতে চায় বিএনপির হাইকমান্ড।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, আমি ম্যাডামের কাছে দলীয় মনোনয়ন চাইব। আমাকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই নির্বাচন করব। তবে আমি আশাবাদী আমার কাজের উপর বিবেচনা করে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে।