বন্দর প্রতিনিধি:
অনুমোদনবিহীন ভেজাল সয়াবিন তেল তৈরী কারখানায় অভিযান চালিয়েছে বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে বন্দর উপজেলার জাঙ্গালস্থ জহিরুল ইসলামের বাড়িতে অবৈধ তেল তৈরি কারখানায় এ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং প্রায় ৬ লাখ টাকার ভেজাল সয়াবিন তেল ধ্বংশ করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হুসাইন ও উপ-পরিদর্শক মোঃ হাফিজসহ সঙ্গীয় র্ফোস।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শাহীন মন্ডল জানান, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নস্থ জাঙ্গাল আইলপাড়া গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদকে টার্গেট করে অনুমোদন বিহীন ভেজাল সয়াবিন তেল ই-তির লেভেল লাগিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হুসাইন সঙ্গীয় ফোর্স ভেজাল সয়াবিন তেল তৈরীর কারখানায় অভিযান চালায়। ওই সময় কারখানার মালিক জহিরুল ইসলামকে আটক করে পরে তার তথ্যমতে পুলিশ বিপুল পরিমান ভেজাল তেল ও তেল তৈরি সরমঞ্জাদী জব্দ করে।
বিষয়টি বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিন্টু বেপারীকে অবগত করা হয়। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কারখানার মালিক জহিরুল ইসলামের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এক লাখ টাকা জরিমান করেন। অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। জরিমানার টাকা নগদ প্রদান করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পিন্টু বেপারী জানান, অনুমোদন বিহীন ভাবে প্যাকেটজাত ও বাজারে বিক্রি দন্ডনীয় অপরাধ। নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩এর ৩৯ দ্বারায় কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
কারখানার মালিক জহিরুল ইসলাম জানান, সিটি মিল থেকে তেল কিনে বাড়িতে আনা হয়। পরে ওই তেল মার্কিন কাপড় দিয়ে তেল সেঁকে বোতল ভরে তার পর বাজার পাইকারী হিসাবে বিক্রি করছি। আমার অপরাধ আমি মেনে নিয়েছি।