আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভাতার জন্য ভিড়

সংবাদচর্চা অনলাইন:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন পনের নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজ মিয়া (৮৫) চাষাঢ়া সোনালী ব্যাংকে এসেছেন বয়স্ক ভাতার টাকা তুলতে। তবে ব্যাংকের সামনে চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। ক্লান্ত সিরাজ মিয়া দীর্ঘ সময় রোদে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন।

কখনো ব্যাংকের দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে, কখনো  রাস্তার পাশে বসে অপেক্ষা করছিলেন। তার মতো কয়েক’ শ মানুষ রোববার বয়স্ক ভাতার টাকা তুলতে এসে এভাবেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যাংক এর সামনে ভিড় জমায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রোমনের ঝুঁকি থাকলেও অপেক্ষাকৃত কাউকেই সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। তাছাড়াও অনেকের মুখেই ছিলোনা মাস্ক।

সরেজমিনে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে সরকার সব ধরনের জমায়েত নিরুৎসাহিত করলেও চাষাঢ়া সোনালী ব্যাংকে বয়স্ক ভাতা নিতে প্রবীণদের ভিড় ছিল চোখে পরার মত। করোনা ঝুঁকি নিয়ে রোববার সকাল থেকেই  ব্যাংকের সামনের সড়কের পাশে দল বেঁধে বসে ও ব্যাংকের পাশে গলির ভেতরেও দাঁড়িয়ে ভাতা গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছিল প্রায়  শতাধিক ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিরা। তবে জনসমাগম কমাতে  ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি ।

জব্বার ভুইয়া বলেন, বাড়ি থেকে চাষাঢ়া প্রায় ৩ কিলোমিটার। এই তিন কিলোমিটার কি আমার পক্ষে একা হেটে আসা সম্ভব ? তাই মেয়ের ঘরের  নাতিকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। ব্যাংক টাকা দিতে দেরি করছে, এ অবস্থায় রোদে দাঁড়িয়ে থেকে আমার অস্থির লাগছে। নাতিটাও রোদে কষ্ট করছে।

বয়স্ক ভাতা নিতে আসা সিকান্দর বলেন, কী করবো? বয়স্ক ভাতা তো নিতেই হবে।  প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ব্যাংকের বাইরে অপেক্ষা করছি এখনো ভেতরে ডুকতে পারিনি। অনেক মানুষ টাকা নিতে এসেছে তাই ভিড় অনেক। কতক্ষণ যে বসে থাকতে হয় কে জানে। তার কথায় সায় দিয়ে ষাটোর্ধ্ব রহিম মিয়া ও নরেন্দ্র বিশ্বাস জানালেন, তারাও সকাল থেকে এখানে বসে অপেক্ষা করছেন ।

নারায়ণগঞ্জ সচেতন মহল বলছেন, প্রতিদিন এ শহরে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে এত মানুষ এক সাথে ভিড় করলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে বলে তারা মনে করছেন।