আজ মঙ্গলবার, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লার ভূইগড়ে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ

ফতুল্লার একটি পোশাক কারখানার বকেয়া বেতনের দাবিতে  কয়েকশ’ শ্রমিক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করেছেন। এ সময় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশ ও শ্রমিকদের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪৯ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফতুল্লার ভূইগড় এলাকায় জাজ অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের সাথে ওই ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘন্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাজ অ্যাপারেলসের কয়েকশ’ শ্রমিক বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলসহ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ভূইগড় সড়কে এসে অবস্থান নেয়। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের উপর শ্রমিকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বিক্ষোভরত জাজ অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা জানান, গত দুই মাসের বেতন ও পাঁচ মাসের ওভারটাইম বকেয়া রয়েছে। বেতন চাইলে জাজ অ্যাপারেলসের মালিকপক্ষ কালক্ষেপন করতে থাকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বকেয়া বেতন চাইতে গেলে দুই শ্রমিককে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে মালিক পক্ষের লোকজন মারধর করেছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। মারধরের প্রতিবাদেই কারখানার কয়েকশ’ শ্রমিক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

এ বিষয়ে জাজ এ্যাপারেলের এজিএম আবুল কালাম আজাদ শ্রমিকদের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, শ্রমিকরা কেবল চলতি মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস পাবে। চলতি মাস শেষ না হওয়াতে অর্ধেক বেতন দেওয়ার প্রস্তাব মালিকপক্ষ দিলে শ্রমিকরা তার বিরোধীতা করে কারখানায় ভাঙচুর চালায়।

এদিকে এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছালে বিক্ষোভরত শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে শর্টগানের ৪৯ রাউন্ড ও গ্যাস গানের আরো কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছে।