আজ মঙ্গলবার, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুনরায় পিতা-পুত্র সেরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

একের পর এক দেশের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে রূপগঞ্জের গাজী পরিবার। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বদলে দিচ্ছেন দেশের অর্থনীতির চাকা। প্রতিষ্ঠা করছেন নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান। দূর করছেন বেকার সমস্যা। কর দিচ্ছেন নিয়মিত। পাচ্ছেন কাজের স্বীকৃতি। ২০২১ /২০২২ করবছরের ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে একসঙ্গে সেরা করদাতা হয়েছেন গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ -১(রূপগঞ্জ) আসনের সদস্য সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক ও তার জ্যেষ্ঠ পুত্র তরুণ শিল্পদ্যোক্তা ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এনবিআর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

গত কয়েক বছর যাবত তারা দেশের সেরা করদাতা হয়ে আসছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য কোন জনপ্রতিনিধি এই তালিকায় নাই বলে জানা গেছে । গোলাম মর্তুজা পাপ্পা নারায়ণগঞ্জের তরুণ সমাজের গর্ব। তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জে এই সুনাম এনে দিয়েছেন যা অন্য কেউ এনে দিতে পারে নাই। রূপগঞ্জে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। শিক্ষা খেলাধুলা বিনোদন ধর্ম সামাজিক সাংস্কৃতির উন্নয়নে তার ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়া দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোদ্ধা হিসেবে গোলাম দস্তগীর গাজী কাজ করছেন । তার পদচারণায় বদলে গেছে রূপগঞ্জের উন্নয়ন চিত্র। তিনি নারায়ণগঞ্জ ১ আসন থেকে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে গাজী পরিবারের এই দুই সদস্য সেরা করদাতা হওয়ায় রূপগঞ্জে আনন্দের জোয়ার বইছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাছিনা গাজী। তিনি তারাব পৌরসভার মেয়র । তার ছোট ছেলে গাজী গোলাম আশরীয়া বাপ্পী । তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক। গোলাম দস্তগীর গাজীর পুত্রবধূ একজন বুয়েটের শিক্ষক। গাজী পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সংগঠনে দায়িত্ব পালন করছে। সুত্রের খবর ১১ বছর যাবত দেশের সেরা করদাতা হয়ে আসছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক । তিনি ১৯৪৮ সালের ১৪ আগস্ট বৃহত্তর ঢাকা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পড়াশুনা শুরু করেন পুরান ঢাকার বিদ্যাপিঠে। ছাত্র থাকা কালীন সময়ে গোলাম দস্তগীর গাজী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নিবার্চন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১/১১ এর সব ঘটনায় জীবনবাজী রেখে লড়াই করেছেন তিনি। এখনও তিনি দলের জন্য রাজপথে আছেন। তার দাপটে বিরোধী দল মাঠ ছাড়া। তিনি ছিলেন গেরিলা যোদ্ধা। তিনি ২০২০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৪ সালে দেশের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ও দেশের শিল্প খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্লাস্টিক ও রাবারজাত পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপন করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে কাকরাইল, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, মৌচাক, ইস্কাটন ও মগবাজার এলাকা থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন।
তিনি এফবিসিসিআইয়ের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রীড়া অঙ্গনে গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরাট অবদান রয়েছে। তিনি বিসিবির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা এখন বিসিবির পরিচালক। তিনি রূপগঞ্জে দলের জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখছেন ।

সর্বশেষ সংবাদ