পাবনার বধূ নারায়ণগঞ্জে একসঙ্গে তিন সন্তান প্রসব করেছেন। প্রসূতি সদর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় বসবাসরত চাকুরিজীবী আব্দুস সামাদের স্ত্রী নাসরিন আক্তার । বিয়ের ছয় বছর পর একসাথে তিন সন্তানের মুখ দেখলেন এই দম্পতি৷ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে প্রসব ব্যথা উঠলে প্রসূতি নাসরিনকে সাড়ে আটটার দিকে দ্রুত শহরের ডন চেম্বারের বেসরকারি মেডিস্টার হাসপাতালে আনা হয়৷
সেখানে সকাল ১১টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের গাইনী ও অবস্ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিন সিদ্দিকা রুমকির তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি সন্তানের জন্ম দেন নাসরিন৷
সন্তান তিনটির মধ্যে দুইটি মেয়ে ও একটি ছেলে৷ তাদের ওজন যথাক্রমে প্রথম মেয়ে ২.৭ কেজি, দ্বিতীয় ছেলে ২.৬ কেজি, তৃতীয় মেয়ে ২ .৫ কেজি৷ বর্তমানে মা নাসরিনসহ তিনটি সন্তানই সুস্থ রয়েছেন বলে জানান ডা. শারমিন সিদ্দিকা৷
তিনি বলেন, যমজ সন্তান প্রসবের বিষয়টি খুব সাধারণ৷ একসাথে তিন সন্তান প্রসবের বিষয়টি তেমন একটা হয় না৷ ৩৭ সপ্তাহ পার করার পর এই প্রসূতির সন্তান প্রসব হয়েছে৷ একটি বাচ্চা উল্টে ছিল, নরমাল প্রাকটিস করতে গেলে বাচ্চা লক হয়ে যাবার সম্ভবনা ছিল৷ যার ফলে সিজারিয়ান করতে বাধ্য হয়েছি৷ তবে বাচ্চা তিনটির ওজন ও শারীরিক অবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক৷ তাদের মা বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।
তিন সন্তানের পিতা সামাদ আব্দুস সামাদের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার তারাবাড়িয়া গ্রামে৷ তিনি মুন্সিগঞ্জের মোক্তারপুরের প্রিমিয়ার সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন৷ চাকরি সূত্রে তিনি স্ত্রীকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুরের ফকিরবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন৷
দাম্পত্য জীবনের সাত বছরের মাথায় সন্তানের মুখ দেখলেন আব্দুস সামাদ৷ তাও আবার একসাথে তিন সন্তান৷ যারপরনাই খুব আনন্দিত তিনি৷
তিনি বলেন, বিয়ের ৭ বছর পর আমার ঘরে তিনটি সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ায় আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। এখনও বাচ্চাদের নাম রাখা হয়নি৷ তাদের মা এখন হাসপাতালে রেস্টে আছেন৷ তাকে বাড়িতে নিয়ে তারপর সব আনুষ্ঠানিকতা হবে৷