আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাসিকের বিরুদ্ধে বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযোগ

নাসিকের বিরুদ্ধে

নাসিকের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নাসিকের বিরুদ্ধে বন্দরের চৌরাপাড়া কবি নজরুল স্কুল সড়কের দক্ষিণ পাশের প্রায় অর্ধশত কাঁচাপাকা বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে । ভেঙ্গে ফেলা স্থাপনাগুলো মধ্যে রয়েছে বসত ঘর,দোকানপাট, দালানকোটা ও দেয়াল। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার ২৪ নং ওয়ার্ডে এ অভিযান চালায় বলে এলাকাবাসী জানান। তবে উচ্ছেদ অভিযানের সময় নাসিকের কোন উর্ধŸতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।

সাব কন্ট্রাক্টর মোতালেবের নেতৃত্বে নাসিকের ৮/১০ জন কর্মী হাতুড়ী ও হামার পিটিয়ে বাসিন্দাদের বাড়ির দেয়াল, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ভাঙ্গার সময় বাঁধা দিতে গেলে উচ্ছেদ কর্মীদের সাথে বাসিন্দাদের বচসা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে। উচ্ছেদের সময় বহিরাগত কয়েকশ’ অপরিচিত লোককে এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিতে দেখা গেছে। বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ভারী যান চলাচলের জন্য রাস্তাটি প্রশস্থ করতে সিটি করপোরেশনকে ব্যবহার করছে স্থানীয় দুটি শিল্প কারখানার মালিক, তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দিতে প্রতিষ্ঠান দুটি কোটি টাকা ছড়াচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সিটি করপোরেশনের ৮/১০ জন কর্মী কবি নজরুল স্কুল সড়কের দক্ষিণ পাশের স্থাপনা উচ্ছেদে অংশ নেয়। এ সময় বাসিন্দারা তাদের বাধা দেয়।

এ নিয়ে তীব্র বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। উচ্ছেদে আসা নাসিকের কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর মোঃ রাসেদুল ইসলাম জানান, এই জায়গা সরকারী। তারা সরকারী জায়গা দখল করে আছে। সিটি করপোরেশনের নির্দেশে এগুলি উচ্ছেদ করছি। উচ্ছেদের শিকার হাজী মোহাম্মদ আলী জানান, এই জায়গা সম্পুর্ণ তার পৈত্রিক সম্পত্তি। রাস্তা থেকে কমপক্ষে তিন ফুট নিজস্ব জায়গা ছেড়ে বাড়ির স্থাপনা গড়েছি। এলাকার কিছু লোকের ইন্ধনে বিশেষ করে শহীদুল্লাহ মাস্টার, মনির হোসেন, কাইল্লা সাহা, ফজু ও সাব কন্টাক্টার মোতালিবের ইন্ধনে আমার বৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। সাব কন্ট্রাক্টর মোতালেব এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে অসম্মতি জানান এবং শহীদুল্লাহ মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করতে বলেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ