আজ সোমবার, ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তও ভুল ! রান-আউট নিয়ে নাটক

অনলাইন ডেস্ক:

আফগানিস্তানের ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাজিবুল্লার লফটেড শটে ওঠা সহজ ক্যাচ লং অফে শরীফুলের হাত ফসকে বাউন্ডারি হয়ে যায়। তৃতীয় বলটিতে সোজা ব্যাট চালান নাজিবুল্লাহ। দেখা যায় বল সাকিবের হাত ছুঁয়ে ননস্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙে দিয়েছে! থার্ড আম্পায়ার রিপ্লে দেখে রহমত শাহকে আউট ঘোষণা করেন। সাকিবের আবেদনে জোর ছিল না, তাই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেয় আফগানিস্তান।

রিভিউয়ে দেখা যায় বল স্টাম্পে লাগার আগে সাকিবের হাত ছোঁয়নি। রান তাড়ায় নেমে দলীয় ৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। শরীফুলের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে দ্রুত রান নিতে গিয়ে মিড-উইকেট থেকে আফিফ হোসেনর সরাসরি থ্রুতে রান-আউট হয়ে যান রিয়াজ হাসান (১)। এই শরীফুলের সৌজন্যেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ১৬ রানে মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়েন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদী (৫)। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব সাকিবের। তার ঘূর্ণিতে মুশফিকের দ্রুততায় স্টাম্পড হয়ে যান আজমতুল্লাহ ওমরাজাই (৯)। ৩৪ রানে তিন উইকে পতনের পর দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন ওপেনার রহমত শাহ আর নাজিবুল্লাহ জারদান।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ৩০৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৮ রানে টাইগাররা প্রথম উইকেট হারায়। ফজলহক ফারুকীর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ২৪ বলে ১২ রান করা তামিম। লিটন দাসের সঙ্গী হন সাকিব। জুটিতে ৪৫ রান আসতে ফের ছন্দপতন। রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ৩৬ বলে ২ চারে ২০ রান করা সাকিব আল হাসান। ১৫.২ ওভারে ৮৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন।

২৫তম ওভারে নবীর তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন লিটন। বাংলাদেশি ব্যাটারদের দ্রুত আউট করতে ইনিংসের অর্ধেক পথেই সাত বোলার ব্যবহার করেছে আফগানিস্তান। তবে এতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। লিটনের পর মুশফিকও ৫৬ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ফিফটি পূরণ করেন। অন্যপ্রান্তে দারুণ ছন্দে থাকা লিটন দাস এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিন অংকের দিকে। ৪১তম ওভারে রশিদ খানকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের পাঁচ নম্বর সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। তিন অংক ছুঁতে লিটন খেলেছেন ১০৭ বল, হাঁকিয়েছেন ১৪টি চার।

সেঞ্চুরির পর আগ্রাসী হয়ে ওঠা লিটনকে ৪৭তম ওভারে থামান ফরিদ আহমেদ। দ্বিতীয় বলে স্কয়ার লেগে মুজিবের তালুবন্দি হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ১২৬ বলে ১৬ চার ২ ছক্কায় ১৩৬ রান। এর সঙ্গেই অবসান হয় ১৮৬ বলে ২০২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির। ঠিক পরের বলেই ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরির অপেক্ষা বাড়িয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন ৯৩ বলে ৯ চারে ৮৬ রান করা মুশফিক। শেষের তিন ওভারে বেশি রান ওঠেনি। ফারুকী ইনিংসের শেষ ওভারে দেন মাত্র ৪ রান। এতে ৫০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩০৬। আফিফ ১৬* আর মাহমুদউল্লাহ ৬* রানে অপরাজিত ছিলেন।