আজ শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তারেক রহমান গ্রেনেড হামলার রূপকার

'তারেক রহমান

'তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের জনসভায় নৃশংস গ্রেনেড হামলার প্রধান রূপকার হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার প্রত্যক্ষ মদদেই  গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে সৌভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা আহত অবস্থায় বেঁচে গেলেও ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। তাই এ মামলার কোনো আসামিরই অনুকম্পা পাওয়ার সুযোগ নেই।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চার্জশিটভুক্ত ৪৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করে তিনি আরও বলেন, শীর্ষ জঙ্গি মুফতি হান্নান, মাওলানা তাজউদ্দিন আহমেদ, আবদুস সালাম পিন্টুসহ আসামিরা তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কাছে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে গিয়েছিল। তখন বাবর উল্লেখিত আসামিদের হাওয়া ভবনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করে দেয়। সেদিন যদি তারেক রহমান আসামিদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করতেন, তাহলে ইতিহাসের এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ঘটতই না।

কাজল বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর হামলা হয়েছিল। আসামিরা চেয়েছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ রাজনীতিকদের হত্যা করতে। তারেক রহমানের সঙ্গে হাওয়া ভবনে এ নিয়ে মুফতি হান্নান, মাওলানা তাজউদ্দিন, শেখ আবদুস সালাম, মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সী, পাকিস্তানের নাগরিক প্রশিক্ষিত আবদুল মাজেদ ভাটদের বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়া ও আহসান উল্লাহ মাস্টারকে আসামিরা যেভাবে হত্যা করেছিল, সেইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা হবে। তখন প্রশ্ন আসে, জঙ্গিদের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি বা তারেক রহমানের ‘মিউচ্যুয়াল ইন্টারেস্ট’ কি?

জবাবে আসামিরা বলেছিল, শেখ হাসিনাকে যদি হত্যা করা না যায়, তাহলে তারা এ দেশে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের স্টাইলে জঙ্গিরাজ কায়েম করতে পারবে না। আর বিএনপি বা তারেক রহমানের লাভ হলো, তারা এ দেশে আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। এর পরই আসামিদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারেক রহমান ও বাবর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

কাজল বলেন, চার্জশিটভুক্ত ৪৯ আসামিই সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার মতো অপরাধ করেছে। গ্রেনেড হামলার পর হত্যাকারীদের বাঁচাতে তৎকালীন সরকারের মদদপুষ্ট ডিজিএফআই, এনএসআই, সিআইডি ও পুলিশ নানা তৎপরতা চালিয়েছিল। জজ মিয়া নামে একজনকে দিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি আদায় করে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ভুয়া চার্জশিটও দিয়েছিল। এমনকি আসামিরা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে সে ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন তারেক-বাবর। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমান অপরাধের দায় ৪৯ আসামিরই আছে। এ জন্যই সবার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।