আজ শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টুর্নামেন্ট সেরার লড়াইয়ে আছেন সাকিব

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে আগেই। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপও শেষের পথে। রোববার লর্ডসে শিরোপা নির্ধারণের ম্যাচ। নির্ধারণ হবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটারও। ওই খানেই টিকে আছে বাংলাদেশ। কারণ সাকিব আল হাসান টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে আছেন।

সেমিফাইনালের আশায় টুর্নামেন্ট শুরু করে বাংলাদেশ। শেষ করে আটে থেকে। তবে সাকিব ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। আট ম্যাচে করেছেন ৬০৬ রান। নিয়েছেন ১১ উইকেট। আছে দুটি সেঞ্চুরি এবং পাঁচটি ফিফটি। বেশ কিছু রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সর্বোচ্চ রান, প্রথম পাঁচ উইকেট। বিশ্বকাপে প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে পাঁচশ’র পরে ছয়শ’ রানের সঙ্গে ১০ উইকেট। একই আসরে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট। একই ম্যাচে ফিফটি ও পাঁচ উইকেটের রেকর্ডে উঠেছে তার নাম। টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার কাতারে নাম তুলেছেন। ফ্যান্টাসি ক্রিকেটারের তালিকায় শীর্ষে থেকেছেন।

রোহিত শর্মা-ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটিং শো’তে সাকিবের সম্ভাবনা অবশ্য কমতে থাকে। তবে রোহিত আসরের সর্বোচ্চ ৬৪৮ এবং ওয়ার্নার ৬৪৭ রান করে সেমিফাইনালে বিদায় নিয়েছে। সাকিবের পেছনে আছেন জো রুট (৫৪৯ রান) ও কেন উইলিয়ামসন (৫৪৮ রান)। তারা ফাইনালে দুর্দান্ত কিছু না করলে সাকিবই তাই পারফরম্যান্সের বিচারে এগিয়ে থাকবেন। ফাইনালে সাকিবের রান টপকালেও অলরাউন্ডার সাকিবকে টপকাতে পারছে না এটা নিশ্চিত।

বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার লড়াইয়ে আছেন বিশ্বকাপে রেকর্ড ২৭ উইকেট নেওয়া মিচেল স্টার্ক। এছাড়া ১৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জয়ে ভূমিকা রাখা জোফরা আর্চারের নামও থাকছে। কিউই পেসার লকি ফার্গুসন ১৮ উইকেট নিয়েও হতে পারেন সেরা। তাদের ফাইনালে উইকেট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ তো থাকছেই।

সাকিবের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার পথে অবশ্য বড় একটা বাধা আছে। গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। দলকে সেমিফাইনালে তুলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার রেকর্ড আছে তিনজনের। তারা হলেন, ১৯৯২ সালে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন ক্রো, ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার ও ২০০৩ সালে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার। সাকিবের খামতি ওই এক জায়গায়। তারপরও সাকিব ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হলে সম্ভবত বিশ্ব ক্রিকেটের কেউ অবাক হবে না। নতুন এক ইতিহাসও হবে।