সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
শহরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে জুয়ার আসর পরিচালনাকারি শাহজাহান ওরফে বড় শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সে আটক হয়। এ সময়ে জুয়ার আসরের আরেক হোতা ছোট শাহজাহান আটক হওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও পুলিশ বলছে, তাকে ধরা যায়নি। উল্লেখ্য, এ দুই শাহজাহানের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে হলেও তারা দীর্ঘ দিন ধরে শহরে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছে। সাবেক পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের সময়ে এ দুইজন সহ অন্যসব জুয়া পরিচালনাকারি পালিয়ে যাওয়ায় সব জুয়ার স্পট বন্ধ ছিলো।
সূত্র জানায়, শহরের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার আসর বসায় বড় শাহজাহান ও ছোট শাহজাহান। শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখলে তারা জালকুঁড়ি, ভ‚ঁইগড়, বন্দর সহ বিভিন্ন এলাকার পরিচিতজনের বাড়ি ও বিভিন্ন সংগঠনের অফিসে জুয়া চালায়। এমনকি কখনও কখনও কমিউনিটি সেন্টারের মালিককে ম্যানেজ করেও জুয়ার আসর বসায়। এসব কথা সবার জানা থাকলেও রহস্যজনকারনে তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তবে এসপি হারুনের সময়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকায় শহর ছেড়ে পালিয়ে ছিলো এ দুই গুণধর!
এদিকে গতকাল বড় শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সদর মডেল থানার এসআই সাইদুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বড় শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোট শাহজাহান গ্রেপ্তার হয়েছে কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ছোট শাহজাহানকে খুঁজছি। তিনি আরও জানান, পুলিশি তৎপরতা রুখতে বড় শাহজাহান পুলিশকে উৎকোচ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলো। ওসি স্যারের নির্দেশে আমরা বড় শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করি।
এদিকে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বড় শাহজাহান একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও ছোট শাহজাহান অধরা থেকে যাওয়ায় সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে পুলিশের সূত্র বলছে, ছোট শাহজাহান খুব ধুর্ত প্রকৃতির। তাই তাকে ধরা সম্ভব হয় না।
সূত্র আরও জানায়, নির্বিঘ্নে জুয়ার আসর চালানোর জন্য পরিচালনাকারীরা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গায়। তারা প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়, সব মহল ম্যানেজ করেই জুয়ার আসর চালাই। এসব কথা সদর মডেল থানা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের কানে গেলে তারা কড়া নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হয় বড় শাহজাহান।
তবে অভিযোগের পাহাড় জমে থাকা ছোট শাহজাহান এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। সে একদিকে জুয়ার বোর্ড চালায় অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের আশপাশের দোকানে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানা গেছে।