আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্কের প্রমান গায়েব! শিক্ষকের গুরুদোষে লঘুদণ্ড!

ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক

ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফতুল্লার কাশীপুর হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আবুল খায়ের নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক এর মোবাইল, ল্যাপটপ ঘেটে ৫/৬ জন শিক্ষার্থীর ছবি ও ভিডিও, এবং শিক্ষকের ঘর তল্লাশি করে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির ড্রিংকস, ট্যাবলেট, মেয়েদের বিশেষ সময়ের অন্তর্বাস, প্রায় ২০ জিবি পর্ণ ভিডিও পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। এতো বড় ঘটনায় শুধুমাত্র শিক্ষককে বহিস্কার করেই দায় সেরেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে এনামুল ফেরদৌস নামে একজন ফেইসবুক ব্যবহারকারী নারায়ণগঞ্জস্থান নামক ফেইসবুক গ্রুপে পোষ্ট দিয়েছেন, যে অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে সে স্কুলের সদ্য প্রক্তন (ঝ.ঝ.ঈ) বর্তমান ছাত্রী দের সাথে রসড়, সবংংবহমবৎ, কোচিং সেন্টারে এনে পরিক্ষায় নাম্বার বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে কুরুচিপূর্ন ছবি দেয় এবং তার সুবিধা মতো তার বিছানায় নিতে বাধ্য করে ও ভিডিও করে (তার ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপ ঘেটে সকল ছবি, ভিডিও দেখা হয়েছে)। অতঃপর এই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে বার বার শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। এমন একজন ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করে (এলাকার যুবক)। তার কথার ওপর ভিত্তি করেই শিক্ষক এর বাড়িতে যাওয়া হয় শিক্ষক এর মোবাইল, ল্যাপটপ ঘেটে ৫/৬ জন শিক্ষার্থীর ছবি ও ভিডিও পাই। ঘর তল্লাশি করে যৌণ ক্ষমতা বৃদ্ধির ড্রিংকস, ট্যাবলেট, মেয়দের বিশেষ সময়ের অন্তর্বাস, প্রায় ২০ জিবি ঢ়ৎড়হ ভিডিও পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে স্কুলের ২জন শিক্ষক, কাশীপুর সমাজ উন্নয়নের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খবর পেয়ে ছুটে আসেন এবং তার কৃতকর্ম বিবরণ শুনে হতবাক হয়ে যায় এবং তাদের সামনে সকল তথ্য মুছে ফেলা হয়।
কেন সকল তথ্য মুছে দেয়া হলো এবিষয়ে জানতে হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা খায়ের স্যারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেরেছি। অভিযোগ জানার পর, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তার মোবাইল ও ল্যাপটপে অশ্লীল ভিডিও পাওয়া গেছে এবং সেগুলো স্কুলের দুইজন শিক্ষক ও কাশীপুর সমাজ উন্নয়ন সংসদের সাধারন সম্পাদকের উপস্থিতিতে মুছে ফেলা হয়েছে এমন কথার জবাবে প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক জানান তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। শুধু মাত্র এক শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর সাথে মোবাইলে কথা বলে শিক্ষক আবুল খায়েরকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, অভিযোগ সত্য। তবে কি অভিযোগ সত্য তিনি এবিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি।
এবিষয়ে কাশীপুর সমাজ উন্নয়ন সংসদের সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন জানান, তিনি কিছু জানেন না। তার কাছে প্রশ্ন করা হয় আপনি তো অভিযুক্ত শিক্ষকের বাসায় গিয়েছেন দুই জন শিক্ষকসহ। সেখানে গিয়ে কি দেখলেন। তিনি এসব অস্বীকার করে বলেন, আমি যাইনি। যারা আপনাকে বলেছে তাদের জিজ্ঞাসা করেন।

 

ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক

এর আগে, এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই শিক্ষার্থী দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়ে হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আবুল খায়েরকে নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে বিদ্যালয়ের চাকুরী থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ফেইসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে হাটখোলা এলাকায় গিয়ে খোজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১৪ বছর যাবত আবুল খায়ের হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি কোচিং ও প্রাইভেট পড়াতেন। এরমধ্যে হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য এসএসসি দেয়া এক ছাত্রীকে পঞ্চম শ্রেণি থেকে তিনি বাসায় গিয়ে পড়াতেন। ওই ছাত্রীর সঙ্গেই অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) ওই ছাত্রীর আত্মীয়-স্বজনরা ও এলাকাবাসী আবুল খায়েরের বাসায় হানা দেয় এবং তাঁর ল্যাপটপে অপ্রীতিকর ছবি ও ভিডিও পায়। এরপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আবুল খায়েরকে মারধর করেন। এ বিষয় জানাজানি হয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরী সভা ডেকে আবুল খায়েরকে বিদ্যালয়ের চাকরী থেকে বহিষ্কার করেন।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল খায়েরের বাসায় গেলে তাকে বাসায় পাওয়া যায় নি। তাঁর মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে প্রতিবেশীদের থেকে জানা যায়, তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ গিয়েছেন।
ঘটনার বিবরন প্রকাশ করে এনামুল ফেরদৌস নামে একজন ফেইসবুক ব্যবহারকারী নারায়ণগঞ্জস্থান নামক ফেইসবুক গ্রুপে পোষ্ট দিয়েছেন এবিষয়ে তা হুবহু নিচে দেয়া হলো।

 

ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক

সম্প্রতি আমার স্কুল/আমাদের স্কুল #হাটখোলাউচ্চবিদ্যালয় কাশীপুর এর আবুল খায়ের শিক্ষক এর বিরুদ্ধে আনা সব অভিজোগ সত্য।
সে স্কুলের সদ্য প্রক্তন (S.S.C) বর্তমান ছাত্রী দের সাথে imo, messenger, কোচিং সেন্টারে এনে পরিক্ষায় নাম্বার বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে কুরুচিপূর্ন ছবি দেয় এবং তার সুবিধা মতো তার বিছানায় নিতে বাধ্য করে ও ভিডিও করে (তার ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপ ঘেটে সকল ছবি, ভিডিও দেখা হয়েছে)। অতঃপর এই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে বার বার শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। এমন একজন ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করে (এলাকার যুবক)। তার কথার ওপর ভিত্তি করেই শিক্ষক এর বাড়িতে যাওয়া হয় শিক্ষক এর মোবাইল, ল্যাপটপ ঘেটে ৫/৬ জন শিক্ষার্থীর ছবি ও ভিডিও পাই। ঘর তল্লাশি করে যৌণ ক্ষমতা বৃদ্ধির ড্রিংকস, ট্যাবলেট, মেয়দের বিশেষ সময়ের অন্তর্বাস, প্রায় ২০ জিবি pron ভিডিও পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে স্কুলের ২জন শিক্ষক, কাশীপুর সমাজ উন্নয়নের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খবর পেয়ে ছুটে আসেন এবং তার কৃতকর্ম বিবরণ শুনে হতবাক হয়ে যায় এবং তাদের সামনে সকল তথ্য মুছে ফেলা হয়।পরবর্তী স্টেপ আমাদের এলাকার মাননীয় স্কুল কমিটি, প্রধান শিক্ষক এর হাতে……
আমরা এই ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই।