বিশেষ প্রতিবেদক
করোনা সংক্রমণ রোধে বিকেল ৪টার পর ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরণের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হলেও নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় সব সময়ই দেখা যায় ভিন্নচিত্র। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বাকিগুলো থাকে স্বাভাবিক। বলাচলে, এপাশ বন্ধ তো ওপাশ থাকে খোলা!
বুধবার সরেজমিনে চাষাঢ়ায় অবস্থান নিয়ে দেখা গেছে, বিকেল ৪টা বাজতেই খাজা সুপার মার্কেটের সব দোকান বন্ধ করে হচ্ছে। অন্যদিকে অপরপাশের পৌর মার্কেটের সব দোকান খোলা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে খাজা সুপার মার্কেটের বেশ কয়েকজন দোকানদার জানান, আমরা প্রতিদিনই নিয়মনুযায়ী বিকেলের পর দোকান বন্ধ করে দেই। মাঝে মধ্যে এখানে ম্যজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করে। তাছাড়াও যেহুতু সরকারের তরফ থেকে বিকেলের পর দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেহুতু বন্ধ করে রাখাই ভালো। তাদের অভিযোগ, পৌর মার্কেটে অবস্থিত প্রিন্স বিফ হাউজ, ফুড ল্যান্ড, সুগন্ধা বেকারী, মাহবুব অপটিক্যাল, নূরের ছোয়া অপটিক্যালসহ সামনের ভ্রাম্যমান ২০ থেকে ২৫টি দোকান সবসময়ই চলমান থাকে।
প্রত্যেক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় সবসময়ই ভ্রাম্যমান দোকান খোলা থাকে। সরকারের দেয়া সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে তারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে দোকান কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিশেষ করে পৌর মার্কেটের দোকানগুলো খোলা রাখায় ভ্রাম্যমান দোকানদাররাও সাহস পেয়ে যায়।
সচেতন মহলের মতে, করোনার সংক্রমণ রোধ করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকলের এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। সরকারের দেয়া সিদ্ধান্ত যারা না মানে প্রশাসনের উচিৎ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
এসএমআর