আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাষাড়ার লার্জ ফার্মা’র বিরুদ্ধে অভিযোগ

চাষাড়ার লার্জ ফার্মা

চাষাড়ার লার্জ ফার্মা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ শহরে অনকে ঔষধের দোকান। এসব দোকান থেকে মানুষ তার আপদকালীন সময়ে জীবন রক্ষাকারী ঔষদ কেনার জন্য যায়। এসব দোকানের মধ্যে অনেকগুলো আবার এতো নাম করে ফেলেছে যে তাদের দোকানের ভীড় দেখে হঠাৎ করে কারো মনে হতে পারে এসব দোকানে বুঝি ফ্রি দেয়া হচ্ছে। বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। বিজ্ঞাপনের প্রোপাগান্ডা ও অনেক মানুষ এসব দোকান থেকে ঔষদ কেনে তাই অন্যরা সখে সখে এসব দোকানে যায়। আর মানুষের ভীড় দেখে দোকানীরাও মানুষকে আর মানুষ ভাবেনা। যাচ্ছে তাই ব্যবহার করে ক্রেতাদের সাথে। এমনই অনেক অভিযোগ ফেইসবুক জুড়ে ঘুরে বেড়ায়। ভুক্তভুগিরা ফেইসবুকে এসব জানিয়ে প্রতিকার হয়তো চায় কিন্তু প্রতিকার কি হয়। এমনই এক ভুক্তভুগি সাইফুল স্বপন। তিনি অভিযোগ করেছেন তার সাথে খারাপ আচরন করেছেন চাষাড়ার লার্জ ফার্মার সেলসম্যানরা। তার অবিযোগ থেকে জানা গেছে এমন আরও অনেকর সাথেই তারা দূর্ব্যবহার করেছেন। কেন তারা এমন ব্যবহার করেন।
১২ মে সন্ধার কিছু পরে ভুক্তভুগি সাইফুল স্বপনের দেয়া ফেইসবুক গ্রুপ নারায়ণগঞ্জিস্থান গ্রুপে দেয়া পোষ্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
লার্জ ফার্মা নিয়ে কিছু কথা, যদিও এর আগে অনেকে এমন পোষ্ট করেছেন, আজকে আমিও করতে বাদ্ধ হলাম,
কিছুক্ষন আগে আমার মা এর জন্য ঔষধ কিনতে চাষাড়া লার্জ ফার্মা তে যাই। প্রেশক্রিপশন নিয়ে প্রথেমে একজন কে বল্লাম, দেখেনতো এই ঔষধ গুলা আছে কিনা? সেই ছেলেটা একবার শুধু আমার মুখের দিকে তাকিয়ে, আর কোন কথা বল্লোনা এবং সে অন্য একজন কে নিয়ে ব্যাস্ততা দেখাচ্ছে। সেখানে উপস্থিত আরেকজন কে বলল্লাম, তারও একই ধরনের কাজ, ভিতরে দুইনজন দাড়িয়ে দাড়িয়ে কথা বলছে (যদিও তারা দুইজন কোন কাজ করছিলোনা) তাদেরকেও বলল্লাম, তারাও সেম, আমার ডাক+কথার কোন কর্নপাতই করলোনা, কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে, একটু জোর গলায় বল্লাম, কি ব্যাপার কিছু কি বলবেন?
তখন কাউন্টারে বসা লোকটি আমার দিকে তাকালো, আমি বললাম কি ব্যাপর, সম্যস্যা কি, কেউ কথার কোন উত্তরই দেয় না, কারন কি, না থাকলে না করে দেন, তিনিও আমার কথার কোন কর্নপাত না করে টাকা গুনা শুরু করলো, মেজাজ টা তখন এমন গরম হইছিলো যা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না, ৫ জন সেল্সম্যান কে ডাকার পরও তারা কোন প্রকারের কোন জবাব দেয় নাই, এমন কি আমার হাতের প্রেশক্রিপশন টা ধরেও দেখে নাই, ভাব খানা এমন, যেনো আমি কোন সেখানে নাই ই, তারা আমাকে দেখেই নাই, মনটা চাইছে ইচ্ছামত কয়টা কথা শুনাইতে, কিন্তু লাভ নাই, তাই কোন কিছু না বলে কালীরবাজার থেকে ঔষধ কিনে ফিরি, লার্জ ফার্মার সেল্সম্যানদের এমন ব্যাবহার নতুন কিছু না, তবে দিন দিন ওদের ভাব যেনো বেড়েই যাচ্ছে।
ওদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার কি কেউ নাই, যদি নাই থাকে, তাহলে আসুন, সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে #লার্জ ফার্মা বর্জন করি।