নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরির গলাচিপা এলাকায় চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে অটোরিক্সার ধাক্কায় ৭ বছরের শিশু নুসরাত আক্তার নিহত হয়েছে। আর্দশ আলিম মহিলা মাদ্রাসার শিশুবাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ক্লাস ওয়ানে নতুন ভর্তি হয়েছিল নুসরাত। বাবা সোহেল মোল্লার তিন কন্যার মধ্যে নিহত নুসরাত আক্তার ছিল ২য় কন্যা। বরিশাল বাকেরঞ্জের স্থানিয় বাসিন্দা সোহেল মোল্লা। নারায়ণগঞ্জ এসে গলাচিপার দেলোয়ার মিয়ার বাড়ির নিচ তলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে সোহেল মোল্লা তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। শিশুু নুসরাত তার মায়ের সাথে ব্যাচ পরার জন্য বাসা থেকে বের হয়। রাস্তার অপর প্রান্তে মুদির দোকান থেকে চকলেট কিনতে যায় নুসরাত। চকলেট কিনে ফেরার পথে অটোরিক্সাটি গতি রোধ করতে না পেরে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে নুসরাতের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে নুসরাত সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পরে তখন অটোতে থাকা লোকজন ও অটোরিক্সার ড্রাইভার তাকে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
অপর দিকে নুসরাতের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারে নামে শোকের ছায়া। শুরু হয় কান্নার আহাজারি। নুসরাতের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে এলাকাবাসী গলাচিপা চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকায় সকল প্রকার অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং বেশকিছু অটোরিক্সা ভাংচুর করে। গলাচিপায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে অনেকেই বলছে এ সড়কটি দিয়ে সবচেয়ে বেশি অটোরিক্সা চলাচল করে এবং তারা বেশি ভাগ সময় দ্রুত গতিতে চলাচল করে।এই মানুষ খেকো অটোরিক্সা যদি বন্ধ না করে তাহলে নুসরাতের মত হারাতে হবে আরো তাজা প্রান।