সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
গত ৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সদস্য সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের টানা এক যুগ পূর্ণ করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ- ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ থেকে শুধু তিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাকীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিতে যায়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হ্যাট্রিক বিজয় অর্জন করেন ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রূপগঞ্জে টানা ১ যুগ যাবত তিনি সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে রূপগঞ্জের দৃশ্য বদলে দিয়েছেন। তার আগে কোনো ব্যক্তি রূপগঞ্জে টানা ১২ বছর সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেনি। এটা গোলাম দস্তগীর গাজীর রেকর্ড। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে ১৩ বছরে পা দিয়েছেন। তার ১২ বছরে রূপগঞ্জে সকল বিষয়ে উন্নয়ন হয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে। তিনি মুড়াপাড়া কলেজ এবং হাইস্কুল সরকারীকরণ করেছেন। গোলাকান্দাইলে সরকারী টেক্সটাইল কলেজ নির্মাণ হবে। প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। ভুলতা ফ্লাইওভার , মুড়াপাড়ায় শীতলক্ষ্যা নদীর উপর বীর প্রতীক গাজী সেতু উদ্বোধন হয়েছে। যার ফলে যানজট দূর হয়েছে। নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। বেকার সমস্যা দূর হচ্ছে। গ্যাস-বিদ্যুতের তেমন সমস্যা নেই। অনেক মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে।
গত ১২ বছরে স্থানীয় প্রশাসনের উপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করেন নাই। জেলা প্রশাসন ,উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসনের তিনি আস্থা অর্জন করেছেন। তার নামে নেই কোনো দুর্নীতির অভিযোগ। যার ফলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে তাকে মন্ত্রিপরিষদে স্থান দিয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রথম মন্ত্রী। এরপর তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার (২০২০) পেয়েছেন।
করোনাকালে তিনি রূপগঞ্জে গাজী পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে নারায়ণগঞ্জ এবং এর আশেপাশের জেলার মানুষকে রক্ষা করেছেন। নারায়ণগঞ্জের মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি খাদ্য সামগ্রী এবং করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এম্বুলেন্সসহ আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মানবিক কাজেও তিনি অবদান রাখছেন। প্রতিবছর তিনি শীর্তাতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
এবারও তিনি শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছেন। মসজিদ ,মন্দিরে তার অনুদান যাচ্ছে। সকল ধর্মের লোকজন নির্ভিগ্নে ধর্মীয় উৎসব পালন করেছে। যার ফলে তার গ্রহণ যোগ্যতা সকল মহলে বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি রাজনীতিতে তার উপর জনগণের আস্থা বাড়ছে। হেভিওয়েট আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক হেভিওয়েট নেতা হয়েছেন। তার নিজস্ব বিশাল কর্মীবাহিনী এবং ভোট ব্যাংক রয়েছে। নিজ দলীয় প্রতিপক্ষদের পরাস্ত করে তিনি টানা তিনবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
তার নেতৃত্বে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে। রূপগঞ্জে বিরোধী দল মাঠে নামতে পারেনি। রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ,ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।
কাঞ্চন পৌরসভায় প্রথম আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। এবার দাউদপুরে আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো না। তারাব পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ১২ বছরে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতির চেয়ে দ্বিগুন বেশি উন্নয়ন করেছেন। তিনি রূপগঞ্জবাসীকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। সড়ক ,মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। তার এক যুগপূর্ণ হওয়ায় রূপগঞ্জবাসী মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তার জন্য দোয়া করছে। মন্ত্রীর উন্নয়নের সুফল রূপগঞ্জবাসী ভোগ করছে।