সংবাদচর্চা রিপোর্ট
গোটা নারায়ণগঞ্জ জুড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বাস। বিশেষ করে সদর উপজেলায় এ সংখ্যা আরও বেশী। ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় শুরু থেকেই করোনা রোগীর সংখ্যাও বাড়তির দিকে। যে কারনে প্রথমে রেড জোন ঘোষণা পরবর্তীতে লকডাউন করা হয়। এরপর কিছুটা নিয়ন্ত্রনে থাকলেও রোববার থেকে গার্মেন্ট কারখানা খোলা শুরু হলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা রোগী। যা নিয়ে আগে থেকেই শংকা প্রকাশ করেছিলেন সচেতন মহল।
বিকেএমইএ’র নেতৃবৃন্দ জানিয়েছিলেন, রোববার থেকে শুধুমাত্র নিটিং ও ডাইং কারখানা চালু হবে। এর পাশাপাশি গার্মেন্ট কারখানার সেম্পল সেকশন সীমিত পরিসরে খোলা হবে। আর সম্পূর্ণ গার্মেন্ট কারখানা শুরু হবে ২ মে থেকে। তবে তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্ট ফ্যাক্টরী খোলা হয়েছে। সকাল হলেই রাস্তায় শ্রমিক-কর্মচারীদের দেখা যাচ্ছে। আবার বিকেল হলে তারা বাড়ি ফিরছে। বলা চলে, স্বাভাবিক সময়ের পুরনো সেই চিত্র এ অস্বাভাবিক সময়েও চলছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, গার্মেন্ট ছুটি হওয়ার পর শ্রমিকরা যখন বাড়ি ফিরছে তখন সামাজিক দূরত্ব মানছে না। তারা পাশাপাশি কোন রকম দূরত্ব না রেখেই চলাচল করছে। এমনকি একজনের কাঁধে হাত দিয়ে আরেকজন হাঁটছে।
এদিকে গার্মেন্ট খুলছে এমন খবরে বিষ্মিত হয়েছিলেন সচেতন নাগরিক সমাজ। নারায়ণগঞ্জ নাগকির নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিকজন, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তাদের সেই উদ্বেগের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর সাধারণ মানুষও উদ্বিগ্ন ছিলেন। তারা বলেছেন, এভাবে গার্মেন্ট খুললে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। বাস্তবেও তাইই হয়েছে। গত দুইদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আইইডিসিআর সূত্রে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্তএই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৪৯ জন। বুধবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩৩ জন। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলেন ৮৮২ জন। আর এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪২ জন। সচেতন মহলের মতে, গার্মেন্ট কারখানা খোলার কারনে এ আক্রান্ত আরও বাড়বে। তাদের মতে, সত্যিকার অর্থে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না।