আজ শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ক্ষমা চাইলেন এটিএম কামাল

ক্ষমা চাইলেন এটিএম কামাল

ক্ষমা চাইলেন এটিএম কামাল

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ৮ এপ্রিল রাত ১ টার একটি ফ্লাইটে আমেরিকার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন এটিএম কামাল। পরবর্তীতে পরিবার থেকে জানানো হয় আমেরিকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশ ত্যাগ করেছেন তিনি। চিকিৎসা শেষে ফিরে আসবেন শীঘ্রই।
তারপর থেকেই দলের ক্রান্তি লগ্নে বিএনপির এই সংগ্রামী নেতার অনেকটা গোপনে দেশ ত্যাগ নিয়ে চারিদিকে নানান গুঞ্জন দেখা দেয়। কেউ বলতে থাকেন হামলা মামলার ভয়ে, কেউ বলেন দলীয় কোন্দল ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারনে অনেকটা অভিমানেই দেশ ছেড়েছেন তিনি।
আর তার এই দেশত্যাগ ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি তার ফেইসবুক একাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ফেউসবুকে এটিএম কামাল লিখেছেন, দেশনেত্রী জেলে, দেশের মানুষ কষ্টে আছে, এমন সময় হঠাৎ এমেরিকা চলে এলাম। এতে আপনজন অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ফেইসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, বিভিন্ন গনমাধ্যমে এনিয়ে সংবাদও হয়েছে।
এটা আমার প্রতি সবার সবার ভলোবাসা ও আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ। আমি এনিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এবং আজও সবার অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে একটি কথা বলতে চাই। আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন, আমিও রক্ত মাংসে গড়া একজন সাধারন মানুষ, জীবন সংগ্রামে যুদ্ধরত কারোর সন্তান, পিতা,ভাই বা স্বামী।
নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে রবিবার (২৭ মে) ভোর রাতে দেয়া একটি স্ট্যাটাসে এভাবেই নিজের বর্তমান অবস্থান ব্যাখ্যা করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রাণভোমরা খ্যাত এই নেতা তার স্ট্যাটাসে আরো বলেন, এখানে এসেছি ৬ সপ্তাহ হলো। চিকিৎসা, বিশ্রাম আর নাতিনের সাথে খূনসুটি এই নিয়েই আমার দিনকাল। দেশের জন্য মনটা সব সময় ব্যাকুল থাকে। তাইতো অনেক আমন্ত্রন ও অনুরোধ স্ববিনয়ে প্রত্যাখান করি। কোন আনন্দ উৎসবে যোগ দেইনা। শুধু মাঝে মাঝে এদেশের প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাই এবং সবার সাথে শেয়ার করি।
প্রবাস জীবন বিলাসিতার নয়। এখানে সবাকেই প্রচন্ড পরিশ্রম করেই সার্ভাইভ (টিকে থাকা) করতে হয়। সারা সপ্তাহ কাজ করে ছুটির দিনে স্বপরিবারে একটু ঘুরতে বের হয়। আমাকেও সাথে নিয়ে যায়।
নিজেকে নিয়ে চলমান দেশের মানুষের সমালোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন, এর মাঝে আমার ছেলে সোহান ফোন করে বললো, আব্বু তুমি এমেরিকার কোন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিওনা, অনেকে সমালোচনা করে। আমি তাকে বললাম, ছবি দেখে যারা সমালোচনা করে, তারাতো পুলিশের হাতে মার খেলে বলতো ফটোসেশন, গ্রেফতার হলে বলতো নাটক, পুলিশের গুলিকে তুচ্ছ করে হরতালে রাজপথে অবস্থান নিলেও বলতো, নেতা হওয়ার জন্য এমন করে।
এগুলো দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতেই এ পর্যন্ত আসলাম। এনিয়ে মন খারাপ করোনা, এখানে আমি কোন নাইট ক্লাব বা ক্যাসিনোতে যাইনা। উইকেন্ডে (সপ্তাহের ছুটির দিন) সবার সাথে হয়তো একদিন কোথাও ড্রাইভে বের হই। দূরে কোথাও, পাহাড়ে, ঝর্নায় বা কোন সবুজ অরণ্যে।