নিজস্ব প্রতিবেদক:
কায়েতপাড়া পশ্চিমগাঁও এলাকায় রবিবার ৩১ অক্টোবর বিকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান গণসংযোগ করতে যায়। গণসংযোগকালে প্রথমে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকার সমর্থক কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাদীম হোসেন অপুর উপর হামলা করে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় জাহেদ আলীর সমর্থকরা নৌকার শ্লোগান দেয় এবং মিজানের সমর্থকরা আনারসের শ্লোগান দেয় । শ্লোগানের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হোসেন অপু (২৬), কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল খন্দকার জয় (৩২), সাইফুল ইসলাম (২২), সুমন মিয়া (২৪), রাকিব হোসেন (২৮), আশফকুল ইসলাম (২৪), রিদয় হাসান (২১), শামীম আহমেদ (২৭), সাদেক হোসেন (২৬), শফিক আহমেদ (২৩), আব্দুল বাতেন (৩০), আব্দুল কাইয়ুম (২২), নূরে আলম (২৭) ।
আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে। ঘটনাস্থল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশ পরিদর্শন করেছে। এসময় চনপাড়া-পশ্চিমগাঁও-রূপগঞ্জ সড়কের ১০/১২টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলহাজ¦ জাহেদ আলী গণমাধ্যমকে জানান, বিকালে পশ্চিমগাওতে আমার গণসংযোগ ছিলো। বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার সমর্থকদের উপর প্রথমে হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাদীম,স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়সহ আমার কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজান গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার বিকেলে পশ্চিমগাও এলাকায় প্রচারনাসহ একটি নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করতে যাই। এর কিছুক্ষণ পর সংঘর্ষ হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। ওই এলাকায় টহল পুলিশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।