আজ শনিবার, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভুষি ও খড়ের(গোখাদ্য) ওজন কম দেয়ার অভিযোগ

ওজন

ভুষি ও খড়ের(গোখাদ্য) ওজন কম দেয়ার অভিযোগ

ওজন

বাকী বিল্লাহঃ(সাঁথিয়া-বেড়া)পাবনা প্রতিনিধিঃপাবনার সাঁথিয়া ও বেড়ায় খড়ের(গোখাদ্য)ওজন কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়,বেড়া উপজেলায় ছোট বড় মোট ২০/২৫ টি খড়ের স্পট কিন্তু একটিতেও নেই খড় ওজন করার দাড়ি।বিক্রি হচ্ছে ওজন ছাড়াই আন্দাজ করে।অভিযোগে বলা হয় একমন খড়(গোখাদ্য) কিনতে হচ্ছে ৪০০/৪৫০টাকায়।৩০/৩৫ কেজিকে বানানো হয় একমন। গরু পালনকারীরা যেমন পরছে বিপাকে তেমনি করে ক্ষতি সাধন হচ্ছে তাদের। কেউ কেউ আবার মনের অনুরাগেই বলছে গরুর খাদ্যের দাম দিন দিন যেভাবে বাড়ছে তাতে আমাদের গরু পালনে লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে দ্বিগুণ।

শুধু তাই নয় গোখাদ্যের অন্যতম ভুষিতেও চলছে দুর্নীতি। জটলা বাধা পচা ভুষি মিশিয়ে প্যাকিং করে বাজার জাত করা হচ্ছে।কিনতেও হচ্ছে চড়া দামে।মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও থেমে থাকেনি অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্ব বরং বেড়েছে দ্বিগুণ। সাধারন মানুষ হারিয়ে ফেলছে গনমাধ্যম ও প্রশাসনের প্রতি আস্থা। কেউ কেউ আবার বলছে টাকার কাছে বিক্রি হচ্ছে আস্থাভাজন ব্যক্তিরা।আমাদের সেবা দেয়ার মত আর কেউ থাকছেনা।বিশেষ করে অভিযোগের শীর্ষে রয়েছেন খড়(গোখাদ্য)বিক্রেতা আমাইকোলা গ্রামের আলতাব,করমজা গ্রামের নুর মোহাম্মাদ (নুরু)একই এলাকার করমজা গ্রামের আমিরুল ইসলাম,মাসুদ,বাহাদুর।সাঁথিয়ার করমজা মল্লিক পাড়া গ্রামের আনছার আলী মোল্লা বলেন,আমার তিনটি গরু একদিন পরপর আমার একমন করে খড়(গোখাদ্য)কিনতে হয়।

কিন্ত সঠিক ওজন আমরা পাইনা ভুষিতেও চরম ভেজাল ব্যবসায়ীদের ।খড় বিক্রেতাদের কিছু বলতে গেলে তারা আমাদের দিকে তেরে আসেন।এব্যপারে হাট কমিটিকে জানিয়েছি তারাও আমাদের জন্য কোন সুফল আনতে পারেনি।সাঁথিয়া ফেচুয়ান গ্রামের খড়(গোখাদ্য)কিনতে আসা মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, ১৫/২০ টি গরু আছে আমার, আমি প্রতিদিন খড়(গোখাদ্য)কিনতে আসি আজকেও ৫ মন কিনবো কিন্তু দেখা যাবে সঠিক ওজন করতে গেলে ৪মন হবে কিনা সন্দেহ আছে। তাতে গোখামার নিয়ে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছি।বেড়া উপজেলার মোহনগঞ্জ গ্রামের আমিরুল ইসলাম জানান,প্রতিদিনের মত আজকেও খড়(গোখাদ্য)কিনতে এসেছি কিন্তু ওজন ঠিকঠাক মত বুঝে পাইনা।এব্যপার খড়(গোখাদ্য)বিক্রেতা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, এর আগেও অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিক ভাইয়েরা এসেছিলেন দাড়ি(পরিমাপক স্কেল) ঝোলানোর কথা বলেছিলেন,আমি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের দাড়ি(পরিমাপক স্কেল) ঝোলানোর কথা বললেও তারা আমার কথায় সায় দেননি।