আজ বৃহস্পতিবার, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আইভী ষড়যন্ত্র

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে মানুষ শুধু সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকার মেয়ে হিসেবেই চিনতেন। তবে নানা ঘটনায় আইভী এখন মানুষের কাছে সাহসের প্রতীক। জেলা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় তিনি। এমনকি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছেও তার গুরুত্ব রয়েছে। সেই আইভীকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অপপ্রচার এমনকি মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। সচেতন মহলের মতে, ২০১১ সালের নির্বাচনের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
রোববার বিকেলে আইভীকে নিয়ে নতুন গুজব ছড়ানো হয়। আইভী না-কি করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু রোগে আক্রান্ত নয় তিনি আমেরিকার নিউইয়র্কে মারাও গেছেন। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ছাপিয়ে রাজধানীতেও কম আলোচনা হয়নি। এসব গুজব যখন ডালপালা গজাচ্ছিলো তখন মেয়র আইভী তার নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। এবং সেখান থেকে তিনি করোনা ভাইরাস নিয়ে জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দফতরে কথা বলছিলেন। এমনকি তিনি মহানগর এলাকায় কারফিউ জারি পর্যন্ত দাবি তুলেছেন। তাহলে প্রশ্ন হলো কে বা কারা এমন গুজব ছড়িয়েছে।
এসব প্রশ্নের উত্তরে সচেতন মহল বলেন, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে ২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পর থেকেই। লক্ষাধিক ভোটে শামীম ওসমানকে হারিয়ে আইভী মেয়র হওয়ার পর থেকে তার পিছু নেয়া হয়। তার নামে পোস্টার সাটানো, মানববন্ধন কত কি হয়েছে। তবে তিনি কিন্তু কোন কিছুকেই ভয় পাননি। আর এ ভয় না পাওয়ার কারনেই এখনও তার পিছু ছাড়েনি গুজব।

রোববার বিকেল থেকেই চারদিকে কানাঘুষা শুরু হয়। পরিচিতজনরা একে অপরের মোবাইল ফোনে কল করে জানতে চান কেমন আছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। কেউ আবার বলেন, তিনি সুস্থ্য আছেন তো। এমন প্রশ্নে কেউ কেউ ভড়কে যায়। কেউ আবার পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেন আপনি কি জেনেছেন। এ প্রতিবেদকের কাছে ঢাকার একজন ক্রীড়া সাংবাদিক সহ কয়েকজন একই রকম প্রশ্ন করেন। কয়েক লাইন কথাবার্তার পর কি শুনেছেন এমন প্রশ্ন করলে শেষতক তারা বলেন, আইভী না-কি মারা গেছে। এ সময়ে তারা একটি বেসরকারী টেলিভিশনের নাম নিয়ে বলেন, ওই টিভির টিকারেতো দেখিয়েছে। তবে এ প্রতিবেদক তাদের জানান, দুপুরে একজন কাউন্সিলর মেয়র আইভীর সামনে থেকে ফোন করেছিলেন। একটা বিষয় নিয়ে আলাপ করেছিলেন তিনি। ওই সময়ে ওই কাউন্সিলর জানান, আমি মেয়র মহোদয়ের সামনে বসে আছি।
জানা যায়, গুজবটা রটে একটি ফেসবুক আইডি থেকে। গতকাল সন্ধ্যায় ‘একজন শাহরিয়ার’ নামক ওই আইডিতেই মেয়র আইভী নিউইয়র্কে মারা গেছেন বলে পোস্ট দেয়া হয়’। জানা গেছে এ আইডিটি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপ পরিচালক মঞ্জুর শাহরিয়ারের। তবে পোষ্ট আপলোডের ২৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি তা সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে কথা হয় মেয়র আইভীর ছোট ভাই ও শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জলের সাথে। তিনি জানান, আপা (আইভী) দেশেই আছেন। তিনি নামাজ পড়ছেন। এবং সুস্থ আছেন। পরে এখবরে বিষ্ময় প্রকাশ করেন মেয়র আইভী। তিনি জানান, আল্লাহর রহমতে আমি ভালো আছি।

সংবাদচর্চা/এসএম