দেশীয় অবহেলিত ফল জীবন বাঁচাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ। তিনি বলেন, ‘খাইলে পেয়ারা, ভালো হবে চেহারা। জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, তেতুল খেলে রক্তে ক্যালোস্ট্রলের পরিমাণ কমে। এসব কথা একেবারে গল্প না, এগুলো ফ্যাক্ট। আমাদের দেশে মজার মজার ফল আছে যার ঔষুধী গুণ আছে। এসব অবহেলিত ফল আমাদের জীবন বাঁচাতে পারে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের জিয়া হলে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফল মেলা’র উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যা সস্তা তা আমরা খাই না। আমাদের সন্তানরা ফল খেতে চায় না। আজকাল আমরা জিনিসের মূল্য দিয়ে এর ভালো-মন্দ নির্ধারণ করি। অনেকে ফল বিক্রি করে চিপস কিনে নিয়ে যায়। প্রকৃতির রঙ বাদ দিয়ে নতুন করে রঙ মিশিয়ে রঙিন খেতে হবে। হিমসাগর আম কখনো লাল হয় না কিন্তু ব্যবসায়ীরা এটাকে লাল বানাবেই। দুই নম্বরী করে খাওয়ার মধ্যে মজা আছে।
ফ্রেশ আমরা খাবো না, ভেজাল বানাবো তারপর খাবো। মানুষ ভাবে লাল মানে পাকা আর মিষ্টি। আমি মনেকরি, যে আম যত লাল, সেটা ততো ভেজাল। কোনো সুস্বাদু আম বাংলাদেশে লাল হয় না। মানুষকে তা বুঝাতে হবে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রকৃতি যা কিছু দিয়েছে তার সবকিছু ভালো। কিন্তু এর গায়ে হাত দেন, রঙ করেন, প্রসেস করেন তাহলেই সর্বনাশ। আমার দুটো পয়সা হোক মানুষ মরে যাক এই ফর্মূলায় যাওয়া যাবে না। ফল খান, ফলজ গাছ লাগান, তাহলে আপনারা ভালো থাকবেন। আগের মানুষের এত ডায়াবেটিক ক্যান্সার হত না, কারণ তারা প্রকৃতির উপর নির্ভর করত। যত কৃত্রিম খাবেন ততো কৃত্রিমভাবে, ঔষধ খেয়ে বেঁচে থাকবেন।’
জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় ফল মেলা ২০২২এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা উপ পরিচালক আব্দুল মাজেদ, অতিরিক্ত উপ পরিচালক আমিনুর রশিদ, অতিরিক্ত উপ পরিচালক লিটন দেবনাথ প্রমুখ।
(সংবাদচর্চা/১৬জুন/এমএল)