আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৮ কোচের পৃষ্ঠপোষক কাওয়াসাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কোচদের পাশ দাঁড়াল কাওয়াসাকি বাংলাদেশ। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে (বিওএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু।

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সহসভাপতি কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়শনের উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) উপ-পরিচালক সৈয়দা তাসলিমা আক্তার,কাওয়াসাকির বাংলাদেশে একমাত্র পরিবেশক ভাস্তিকা ট্রেডার্সের চেয়ারম্যান মো. অহিদুজ্জামান রাজু।

পৃষ্টপোষকের ৮ কোচ হলেন, টিম নিখিল ব্যাডমিন্টন একাডেমির নিখিল চন্দ্র ধর, সিলেট ব্যাডমিন্টন একাডেমির সিব্বির আহমেদ, ফেনী ব্যাডমিন্টন একাডেমির আব্দুল হান্নান, জোস্ট-জোন ব্যাডমিন্টন একাডেমির মিলন সরদার, যশোরের এজাজুর রহমান তুষার, দিনাজপুরের আরেফিন আহমেদ অভি, সেনবাগ ব্যাডমিন্টন একাডেমির আলমগীর হোসেন ও ঢাকার রাজিব আহমেদকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে কাওয়াসাকি। অনুষ্ঠানে উল্লিখিত কোচদের হাতে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাওয়াসাকির ব্যাডমিন্টন সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য কাওয়াসাকি ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে ব্যাডমিন্টনে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করে। ২০১০ থেকে দেশের সেরা শাটলারদের নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার কোচদের সাথে যুক্ত হলো কাওয়াসাকি বাংলাদেশ। তৃনমূল থেকে খেলোয়াড়দের পরিচর্যার কাজ তরান্বিত করতে এ উদ্যোগ বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা কাওয়াসাকি ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের যৌথ উদ্যেগে একটি পুর্ণাঙ্গ ব্যাডমিন্টন একাডেমি নির্মানের পরিকল্পনার কথা জানান। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জমির ব্যবস্থা করে দিলে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজ সহজ হবে- জানান উদ্যেক্তারা।

অনুষ্ঠানে সিলেট ব্যাডমিন্টন একাডেমির কোচ সিব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দেখে আসছি খেলোয়াড়দের পৃষ্ঠপোষকতা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ব্যাডমিন্টনে এই প্রথম কোচদের পৃষ্ঠপোষকতার উদ্যেগ নিয়েছে কাওয়াসাকি। এমন কার্যক্রমের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।’

টিম নিখিল ব্যাডমিন্টন একাডেমির কোচ নিখিল চন্দ্র ধর বলেন, ‘আমাদের লেভেল ওয়ান কোচ আছে ৩৭ জন। যার ২০ জন ব্যাডমিন্টন থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এটা সম্ভব হয়েছে কাওয়াসাকি বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মো. অহিদুজ্জামান রাজুর কারণে। তারা আমাদের পাশে সব সময় থাকবেন সেই প্রত্যাশা করি।