স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যারা বাংলাদেশের বাসিন্দা ধর্মের কারনে আমরা কেউ সংখ্যালঘু, কেউ সংখ্যাগুরু, এই কথাটার সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমি দ্বিমত পোষন করি। আমার মনে হয় এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। ৫ আগস্ট যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা অবসম্ভাবি ছিলো। এটা দীর্ঘ দিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কোন ধর্মীয় ভেদাভেদ ছিলোনা। সবাই অংশগ্রহন করেছে। এই আন্দোলনের সুফল সকল ধর্মের মানুষের। সকল ধর্মই মানুষের কল্যানের কথা বলে।
বুধবার ২১ আগস্ট দুপুরে শহরের চাষাড়া গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গনে উক্ত মত বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে এর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়া হোসেন খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, হিন্দু ধর্মীয় উপাসনালয় গুলো পাহাড়া দিতে। আমরা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ হিন্দু ধর্মের ভাইবোনদের বাড়িঘর এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে একাধিকবার গিয়ে তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি, তাদের সর্বপ্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা করেছি। তারপরও কিছু দুষ্কৃতিকারী যদি বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোনরকম অপকর্ম করে তাহলে আপনারা তার নাম ঠিকানা আমাদেরকে দিবেন। আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা তো নেবোই, তাকে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করবো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সব সময় আপনাদের পাশে ছিলো, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন জন্মাষ্টমীর উৎসব উপলক্ষে সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাইবোনদেরকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনারা সকল ভয়-ভীতির উর্ধ্বে উঠে জাঁক জমকপূর্ণভাবে জন্মাষ্টমী আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। কোথাও কোন বাঁধার সম্মুখীন হলে আমাদেরকে জানাবেন।
বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্মকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি কেউ বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রকার অপকর্ম করার চেস্টা করে। আপনাদের উপর কোন প্রকার হয়রানির চেষ্টা করলে আমাদেরকে শুধু তাদের নাম ঠিকানাটা দিবেন। তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা সহ আইনী ব্যবস্থাও নিবো। আপনারা যে সকল ঘটনার কথা অভিযোগ করলেন, আপনারা সেই ঘটনা গুলো নিজ উদ্যোগে তদন্ত করে আমাদেরকে অপরাধীর নাম গুলো দেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি তাদের কে আমরা আইনের কাছে সোপর্দ করবো।
আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, সাবেক সভাপতি বাসুদেব চক্রবর্তী, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি প্রদীপ কুমার সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশিল দাস, বন্দর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।