মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: সোনাইমুড়িতে ধর্মব্যবসায়ীদের উস্কানিতে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের আসামিদের বিচারের দাবিতে হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন ২০১৬ সনের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে আজ বেলা ১১টার সময় বন্দর প্রেসক্লাব বেনাপোল, শার্শা যশোরে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন মো: ফিরোজ মেহেদী যশোর জেলা সভাপতি হেযবুত তওহীদ এবং সংবাদ সম্মেন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন । উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব শেখ কাজিম উদ্দিন,মো: আব্দুল মুন্নাফ সভাপতি শার্শা প্রেসক্লাব যশোর, আজিজুল হক সময় টিভি,মো: সাহিদুল ইসলাম শাহীন প্রতিনিধি দৈনিক মাতৃছায়া,মো: আজিজুর হক দৈনিক আমাদের সময়,মো: আনিছুর রহমান দৈনিক প্রতিদিনের কথা, মোঃ আয়ুব হোসেন পক্ষী, কলকাতা টিভি,আসাদুজ্জামান রিপন দৈনিক অর্থনীতির কাগজ,মোঃ রাসেল ইসলাম,জাতীয় দৈনিক দিনপ্রতিদিন,মো: তামিম হোসেন সবুজ দৈনিক ভোরের কাগজ,মো: আরিফুল ইসলাম সেন্টু দৈনিক আমাদের বার্তা,সহ আরো অনেকে।
মূল বক্তব্যে উপস্থাপিত হয়, হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠালগ্ন অর্থাৎ ১৯৯৫ থেকেই আমাদের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ী। তারা ওয়াজে, খোতবায়, হাটে বাজারে সর্বত্র অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে আমাদের উপর হামলা করতে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আমরা বহু জায়গায় বহুবার আক্রান্ত হয়েছি। আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর কারণ, একমাত্র আমরাই এদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদসহ ধর্মের নামে প্রচলিত প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবন-সম্পদ উৎসর্গ করে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা এই সত্য মানুষের সামনে তুলে ধরায় যারা ধর্মকে তাদের রুটি রুজি ও কায়েমী স্বার্থের হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছে তাদের মুখোশ জনসম্মুখে খুলে যাচ্ছে, জনসাধারণের উপর থেকে তাদের প্রভাব হারিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে যশোর জেলা সভাপতি জনাব মো: ফিরোজ মেহেদী বলেন, দুই বছর আগে সোনাইমুড়িতে স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তাদের ছাত্রদেরকে নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে আক্রমণ করে। সেখানে পনের বছর থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে যে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা নাকি নামাজ পড়ে না। তাদের এই কথাটি সর্বৈব মিথ্যা, কারণ আমরা যথযথভাবেই নামাজ পড়ি, কেবল যে ইমামগণ নামাজ পড়ানোর বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করেন তাদের পেছনে পড়ি না। এর কারণ আল্লাহ ধর্মীয় কাজের বিনিময় গ্রহণকে হারাম করেছেন। ধর্মব্যবসায়ীদের এই রটনা যে ভুল তা মানুষের সামনে সুস্পষ্ট করার জন্য আমরা একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেই।