শীতের খোলস ছাড়ছে নেপিয়ার। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সেখানে শুরু হয় গ্রীষ্মের আবহ। ওই আবহে নানা উৎসবে মাতে কিউইরা। তার মধ্যে অন্যতম নেপিয়ারের ‘আব্বা’ (এবিবিএ)। নানান সাজে, বাদ্য-বাজনায়, গানে-নাটকীয়তায় আড়াই ঘন্টার অনুষ্ঠানকে ‘আব্বা’ বলে তারা। ওই ‘আব্বায়’ মন দেওয়ার আগে মাশরাফিদের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে মাতার কথা নিউজল্যান্ডের দর্শকদের। কিন্তু সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ জমাতে পারলেন না মাশরাফিরা। ব্লাক ক্যাপদের কাছে ৮ উইকেটের বড় হার দিয়ে বছর শুরু হলো তাদের। শুরু হলো বিশ্বকাপ প্রস্তুতিও।
নেপিয়ারের ফ্লাট উইকেটে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। বোলিংয়ে তাই শুরুতে কিউই শিবিরে আঘাত হানতে হতো মাশরাফিদের। কিন্তু মুস্তাফিজরা তাও পারেননি শুরুতে। স্বাগতিকদের দলীয় রান শতক ছাড়ালে প্রথম আঘাত হানেন ডানহাতি স্পিনার মেহেদি মিরাজ। এরপর মাহমুদুল্লাহ। তবে গাপটিলের সেঞ্চুরিতে জয়ের পথেই ছেদ পড়েনি ব্লাক ক্যাপদের।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে ওপেনার মার্টিন গাপটিল ১১৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। এছাড়া তার সঙ্গে রস টেইলর ৪৫ রান করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন। এর আগে ওপেনার হেনরি নিকোলাস ৫৩ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ১১ রান করে মাহমুদুল্লাহর বলে আউট হন।
নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড পেসারদের সামনে শুরুতে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। তামিম, লিটন, মুশফিক ফিরে যান শুরুতেই। সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহরা সেট হয়ে আউট হন। মিডল অর্ডারে মিঠুন এবং লোয়ার অর্ডারের মিরাজ, সাইফউদ্দিনদের ব্যাটে ভর করে ওই সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে অষ্টম উইকেট জুটিতে ৮৪ রান যোগ করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন। সাইফউদ্দিন করেন ৪১ রান। এছাড়া সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে ৩০ রান এবং মেহেদি মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। মাহমুদুল্লাহ এবং সাব্বিরও ১৩ রান করে অন্যদের মতো সেট হয়ে ফিরে যান। এছাড়া ওপেনার তামিম ৫ রান, লিটন ১ রান এবং মুশফিক ৫ রান করে করেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে শুরুতে এ ম্যাচে দারুণ বোলিং করেন ম্যাট হেনরি এবং বোল্ট। শুরুর চার উইকেট ভাগ করে নেন এ দু’জন। শেষ পর্যন্ত বোল্ট পান তিন উইকেট। এছাড়া স্পিনার মিশেল সাটনার নেন তিনটি উইকেট। ফারগুসন এবং হেনরি দুটি করে উইকেট নেন।