আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম ও জাসদ সভাপতি রাশেদ খান মেনের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে আলাল বলেন, ‘মাহবুবউল আলম হানিফ ও হাসানুল হক ইনু মারামারি করতে করতে ক্লান্ত। হানিফ বসে বসে এখন অনুপ্রবেশকারী তালিকা দিচ্ছেন। এই হানিফদের এখন দায়িত্ব দিয়ে দেন। অথবা এইচটি ইমামকে দায়িত্ব দেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক প্রতিবাদসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগে হানিফরা অনুপ্রেবেশ ঘটিয়েছে মন্তব্য করে আলাল বলেন, ‘এই হানিফ সাহেব প্রথম, আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিই, ২০১৫ সালে লাইন ধরে তার নির্বাচনী এলাকায় জামায়াতের লোকজনদের আওয়ামী লীগে ফুলের মালা দিয়ে যোগদান করিয়েছেন। শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের এমপি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ফুল দিয়ে ওখানে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জামায়াতের প্রায় ২১-২২ নেতাকে সাদরে বরণ করে নিয়েছেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক নিয়েছেন। আরও অনেক নেতা নিয়েছেন। (অনুপ্রবেশকারীদের) ঢুকিয়েছেন আপনাদের মন্ত্রীরা, আপনাদের এমপিরা।’
তিনি বলেন, ‘আজকে পত্রিকায় এসেছে দেখবেন, পাঁচ হাজার অনুপ্রবেশকারীর তালিকা দিয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হাতে। দিয়েছেন কারা? ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন- এটি গোয়েন্দা এবং প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব সূত্রে পেয়েছেন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ এখন গোয়েন্দা সংস্থার দল। এটি সাধারণ মানুষের দল না। কারণ দেখবেন, এই ক্যাসিনো অভিযান যখন শুরু হয়েছে, তখনও ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন- গোয়েন্দাদের সূত্রে এবং প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব সূত্রে সব তথ্য পেয়েছেন। সবই এখন গোয়েন্দারা পরিচালিত করে। এটির নাম বাংলাদেশ গোয়েন্দা লীগ দিলে ভালো হয়। আওয়ামী লীগ তো নিজের চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, এইচটি ইমাম আপনার বাবার লাশ ধানমণ্ডিতে ফেলে খন্দকার মোশতাকের অনুসারীদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। তিনি আপনার পাশে আছেন তাকে দায়িত্ব দেন। এইচটির যদি অ্যাব্রিভিয়েশন (ভেঙে ভেঙে বলি) করি- এইচ হচ্ছে হার্ট, টি হচ্ছে ট্রাস্টেড। এইচটি হচ্ছে- হার্ট ট্রাস্টেড ইমাম। নিজের বাবার হত্যাকারীদের যিনি শপথ পড়ালেন, তিনি হলেন আজকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ইমাম।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সোহেল রানার পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় প্রমুখ বক্তৃতা করেন।