শহরের ২ নম্বর গেটের পাবলিক টয়লেটের বরাবর ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের পেছন দিয়ে একটি রাস্তা করিম মার্কেট হয়ে চলে গেছে গণবিদ্যা নিকেতন স্কুল পর্যন্ত। তবে এখন আর একে রাস্তা বলা যায় না। এ সড়কের দুই পাশই দখল করে নিয়েছে যে যার মতো করে। এরমধ্যে যেমন ভাসমান হকার রয়েছে তেমনি আছে থান কাপড় বিক্রেতা, চা-পানের দোকান সহ অনেকেই। এতে এখান দিয়ে হেঁটে চলাচলকারীরা প্রতিদিনই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্ব পাশে গুলশান হলের পেছনে করিম মার্কেট পর্যন্ত ছোট ছোট ট্রলি গাড়ির মধ্যে দোকান বসিয়ে রাস্তা দখল করে রেখেছে হকাররা। হকারদের কারো কারো দাবি তারা এখানে টাকা দিয়ে জায়গা কিনে হকারি করে। টোকিও প্লাজার পেছনে মোটা দড়ি দিয়ে বাউন্ডারি করে দখল করে রেখেছে সেখানে কোনো হকার বসতে দেয়া হয় না। তবে টোকিও প্লাজা মার্কেটের দোকান মালিক ও ভবনের যারা থাকেন তাদের মোটর সাইকেল রাখা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সামিতুল হাসান জানান, বাসা থেকে নিত্য দিনের পথ এই রাস্তা। হেঁটে যেতে সমস্যায় পরতে হয়। হাঁটতে গেলে অন্য মানুষের গায়ে ঘেষে হাটতে হয় । স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যখন বের হই তখন আর হেটে যাওয়ার পরিস্থিতিতে থাকে না। রিক্সা নিয়ে যেতে হলেও অন্য পথ বেছে নিতে হয়। কারণ এখানে রিক্সা নিয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব না।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আমির হোসেন বলেন, সড়কের কথা কি কমু ভাই! হেরা (হকাররা) এমন ভাবে রাস্তাডারে দখল কইরা রাখছে মনে হয় রাস্তাডা হেরা (হকার) কিন্না (কিনে) নিছে। সবাই মিল্লা (মিলে) জোট বানাইছে। কিছু কইতে গেলেই কয় রাস্তায় টেকা (টাকা) দিয়া দোকানদারি করি। এই রাস্তারে এখন আর রাস্তা মনে হয় না। মনে হয় গরুর হাট বইছে (বসছে)।
এদিকে রাস্তা দখল হয়ে যাওয়ার কারনে সরু জায়গা দিয়ে চলাচল করতে হয় সবাইকে। এতে অনেক সময়ে বিপাকে পড়তে হয়।
একজন নারী জানান, একদিন মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসার পর এ সড়ক দিয়ে হাঁটতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিলো। তিনি জানান, এমনিতেই রাস্তা দখল হয়ে আছে তার উপর কিছু বখাটে এমনভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো যে তাদের গা ঘেষে মেয়েকে নিয়ে যেতে হয়েছে। ওই সময়ে বখাটেরা অশালীন আচারণ করে। তিনি জানান, রাস্তা বেদখল হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে রিকশাযোগে যাতায়াত সম্ভব হয় না।