অল্প বয়সেই যাদের স্মৃতিশক্তি কমতে শুরু করেছে ভবিষ্যতে তাদের ডিমেনশিয়া রোগের আশঙ্কা থাকে। এ কারণে এমন সমস্যা দেখা দিলে শুরু থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার যোগ করা উচিত যে গুলো মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। যেমন-
কফি: মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কফি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। কফিতে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয। সেই সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা কমে । তবে দিনে ২ কাপের বেশি কফি খাওয়া ঠিক নয়।
পালং শাক : এ শাকে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন কে, ফলিক এসিড এবং লুটেইন মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজ করে। নিয়মিত এই শাকটি খেলে স্বাভাবিক ভাবেই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
টমেটো : এতে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড, লাইরোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কে উপস্থিত টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। এতে মস্তিষ্কের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বাড়ে। ব্রকলি: এ সবজিতে সালফারাফেন নামক এক ধরনের উপাদানে থাকে যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বেড়ে যায়।
আখরোট: এতে উপস্থিত ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার নানাভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে দেহে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বাড়ায়। ফলে সবদিক থেকে মস্তিষ্কের উপকার হয়।
হলুদ: এ প্রাকৃতিক উপাদানটি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। এতে থাকা কারকুমিন উপাদান মস্তিষ্কের প্রদাহ কমায়। সে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও বাড়ায়।
অলিভ অয়েল: দক্ষিন এশিয়ায় সাধারণত রান্না করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা হয় না। এ তেলে থাকা পলিফেনল উপাদান মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়ায়।
জাম: এ ফলটিতে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের সেল শুকিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।
নারকেল তেল: চুলের পরিচর্যায় কাজে লাগানো হলেও নারকেল তেল স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। এটি মস্তিষ্কে নিউরনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে মস্তিষ্কে তথ্যের আদান-প্রদান দ্রুত গতিতে হতে থাকে। সূত্র : বোল্ড স্কাই