নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আরো বাড়ানো হয়েছে। এখ নপর্যন্ত ৮টি ইউনিট কাজ করলেও আগুন নিয়ন্ত্রন আসে নি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের ভেতরে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়।
ইপিজেড এর একটি কারখানার মেশিন অপারেট শামীম জানান, ইপিজেডের ভিতর দিয়া মোটা গ্যাসের পাইপ গেসে। ওই পাইপ ফাইট্টা আগুন লাগছে। এরপরই ফায়ার সার্ভিসের অনেক লোক আসছে। আগুন যদি নিভাইতে না পারে তাহলে এই আগুন আশপাশে ছড়াইয়া পড়বো।
তায়াপ গার্মেন্টস এর শ্রমিক আমেনা আক্তার জানান, সকালে আগুন লাগছে, এখন দুপুর হইয়া গেলেও আগুন নিভাইতে পারতাছে না। ইপিজেডে ২’শর উপর গার্মেন্টস আছে, লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে এই খানে। আজকেও অনেক কারখানা খোলা ছিল। আগুন লাগার পরেই কারাখানাগুলো শ্রমিকদের ছুটি দিয়া দিছে।
বেপজার জিএম আহসান কবির জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ইপিজেডের সব শ্রমিকদের নিরাপদে বের করে নিয়ে এসেছি। আগুন নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের আট ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। ‘ইপিজেডের ভেতরে একটি নির্মাণকাজের পাইলিং করার সময় নিচে থাকা গ্যাস লাইনের পাইপ ফেটে স্পার্ক হয়ে আগুন ধরে যায়’। এটি মূলত গ্যাস লাইনের পাইপ হওয়ার কারনে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে কিছুটা সময় লাগছে। তিতাসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারাও এখানে এসেছেন। আমরা চেষ্টা করছি আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনতে।
সিদ্বিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন। মানুষকে নিরাপদে নেয়ার জন্য তারা কাজ করছে।’
(সংবাদচর্চা/১৭জুন/এমএল)