মাজহারুল ইসলামঃ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সোনারগাঁ জোনাল অফিস।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সোনারগাঁ জোনাল অফিসের আওতায় গ্রাহক চাহিদা ৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৫ টি সাবষ্টেশনের মাধ্যমে উপজেলার ১০০ ভাগ বিদ্যুৎ চাহিদা সম্পূর্ণভাবে মিটাতে সক্ষম হয়েছে এ-সমিতি।ইতিমধ্যে বিদ্যুৎতের লোড শেডিং, সিস্টেমলস কমিয়ে আনার পাশাপাশি গত ২০১৬ অর্থ বছরের চেয়ে চলতি ২০১৭ অর্থ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত আরো ১৪ কোটি টাকা বেশি বিদ্যুৎ বিক্রয়ের মাধ্যমে মোট ১৪৪ কোটি টাকা আয় করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে বলে জানা গেছে।সমিতির ভৌগলিক এলাকায় ৯৫.৩৫ বর্গ কিঃ মিঃ ৭৭৬ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের মাধ্যমে সোনারগাঁ উপজেলার বারদী,নোয়াগাঁও, পিরোজপুর,শম্ভুপুরা, মোগরাপাড়া,সনমান্দী ও বৈদ্যেরবাজার ৭টি ইউনিয়ন-সহ সোনারগাঁ পৌরসভার মোট ২৫০টি গ্রামে ৬৯ হাজার ৮ শত ৮৬ জন গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটাচ্ছে এবং বৃহৎ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, দাতব্য, সোলার, সেচ ও রাস্তার বাতিসহ ৯ হাজার ৭শ ২৫ টি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সফলভাবে বিদ্যুতায়িত করতে সক্ষম হয়েছে এ সমিতি।গ্রাহক মালিকানা সংক্রান্ত সমবায় ভিত্তিক ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, বন্দর ও সোনারগাঁ উপজেলার ৪৩ টি ইউনিয়ন এবং ১২শ ৪৩ টি গ্রাম নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠিত হয়।এ সমিতি নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর ব্রীজ হতে মেঘনা ব্রীজ এবং পুরিন্দা হতে মদনগঞ্জ পর্যন্ত এলাকায় নিবির পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ধারাবাহিক ভাবে বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে আসছে।এসমিতির গ্রাহকদের সরাসরি ভোটে প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর এলাকার পরিচালকগণ নির্বাচিত হয়ে থাকেন। শুরু থেকেই সমিতি বোর্ডে ৭ জন এলাকা পরিচালক ও ৩ জন মহিলা পরিচালক দ্বারা সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।যার ফলে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সোনারগাঁ জোনাল অফিস তথা নারায়ণগঞ্জ জেলার অর্থনৈতিক অবকাঠামো দিনদিন মজবুত হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সোনারগাঁ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ জোনাব আলী জানান, বিদ্যুৎতের লোড শেডিং, সিস্টেমলস কমিয়ে আনার পাশাপাশি ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে নতুন সংযোগের লক্ষমাত্রায় সোনারগাঁয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নে সফল হয়েছি। সার্বক্ষনিক গ্রাহক সেবার লক্ষে সোনারগাঁয়ে মেঘনাঘাট, বারদীবাজার, আনন্দবাজার ও হোসেনপুর এলাকায় ৫টি এরিয়া অফিস রয়েছে। এসমিতির কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কারগরি সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আমরা শতভাগ সফলতা এনেছি।
নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,সমিতির আয়লব্ধ টাকা থেকে আরইবির অন্যান্য সিস্টেমলস সমিতি গুলোকে ৬০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করেছে এ সমিতি। তাছাড়া সমিতির কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কারগরি সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ১শ ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ টি পয়েন্টের কাজ করে প্রায় ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করেছে। এখানে ৯ হাজার ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প, পোল্ট্রি ফার্ম, প্রাণী সম্পদ, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও ৯ হাজার ২শ ২৬টি বানিজ্যিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পন্য বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে ব্যাপক সফলতা এনেছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য ১৯ টি বিষয় ভিত্তিক পয়েন্টের ওপর মাঠ পর্যায়ে কাজ করার পাশাপাশি আরো লোড বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সমিতি।এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে লোড শেডিং ও সিস্টেমলস শূণ্যের কোটায় দাঁড়াবে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও সম্পূর্ণ হবে।