আজ রবিবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকারের উসকানিতে পুলিশ আক্রমণ করেছে : রিজভী

সরকারের উসকানিতে

সরকারের উসকানিতেবিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের নির্দেশে বিনা উসকানিতে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে।

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের পর আজ বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশে রিজভী এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘আমরা শান্তির পক্ষে। সরকারের নির্দেশে পুলিশ বিনা উসকানিতে এই আক্রমণ করেছে। তারপরও আমরা অশান্তির পথে হাঁটব না। সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দেব।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনাদের শান্ত হতে বলেছেন। আপনারা রাস্তা ছেড়ে ফুটপাতে বসে পড়ুন। এটা তারেক রহমানের নির্দেশ। সরকারের কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। আপনারা শান্ত হোন।’

অন্যদিকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘পল্টনের ঘটনা সরকারের পরিকল্পিত। সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে।’

আজ দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। পুলিশের গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নেতাকর্মীদের পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। দুপুর ১টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পুরো নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। নেতাকর্মীরা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্তমানে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। মাঝেমধ্যে তারা স্লোগান দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। পুলিশ জোনাকি সিনেমা হলের সামনে ও দৈনিক বাংলা মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে, সংঘর্ষের কারণে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। ঝাড়ু হাতে নিয়ে মিছিল করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সংঘর্ষের ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই তারা পিকেটিং করেছে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ আহত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ধৈর্য ধরে সামাল দেওয়ার। তবে আমরা এখন পর্যন্ত অ্যাকশনে যাইনি। এটা পরিকল্পিতভাবে হচ্ছে। পুলিশের দুটি গাড়ি পোড়ানো ছাড়াও সাঁজোয়া যানে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর চেষ্টা করেছি। এরপর যে নির্দেশনা আসবে, সে অনুযায়ীই কাজ করা হবে।’