আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সন্তানজন্ম দানের পর ওজন কমাতে যা করবেন

সন্তানজন্ম দানের

সন্তানজন্ম দানের

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারীরা বিয়ের আগে দেখতে সুন্দর শারীরিক গঠনের অধিকারী হলেও বিয়ের পরে বদলে যান। বিয়ের পরে মা হওয়ার কারণে মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন বাড়তে পারে।

সুন্দর ও সুস্থ দেহের অধিকারী হতে হলে অবশ্যই ওজন থাকতে হবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। অতিরিক্ত ওজন হতে পারে আপনার বিভিন্ন রোগের কারণ। তাই ওজন কমিয়ে ফেলুন। রুটিনমাফিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম কমাতে পারে আপনার ওজন।

গর্ভধারণের আগের শারীরিক গঠন ফিরে পেতে কে না চায়। বাড়তি ওজন কমাতে কত কিছুই না করে থাকেন আপনি। কিন্তু আপনি জানেন কি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর নির্দিষ্ট কয়েকটি শরীরচর্চার মাধ্যমে ফিরে পাওয়া যায় গর্ভধারণের আগের শারীরিক গঠন।

আসুন জেনে নেই মা হওয়ার পর ওজন কমাতে যা করবেন

খাদ্যাভ্যাস

সকালের নাশতায়

ফল, সবজি, শষ্যজাতীয় খাবার

ফল, সবজি, শষ্যজাতীয় খাবার, ‘লিন প্রোটিন’ যেমন- মাছ, সয়া, মুরগির মাংস ইত্যাদি অবশ্যই থাকতে হবে। দুধ হতে হবে সর ছাড়া, ননী মুক্ত কিংবা ‘লো-ফ্যাট’। আয়রনযুক্ত শাকসবজিও অত্যন্ত জরুরি।

সকালের নাশতায় ‘লো-ফ্যাট’ দুধের সঙ্গে শষ্যভিত্তিক সিরিয়াল খেতে পারেন। কিংবা পুরো সিদ্ধ ডিমের সঙ্গে হালকা ভাজা মাশরুম। ‘লো-ফ্যাট’ চিজের সঙ্গে এক টুকরা ফল। ওজন কমাতে টক দইও কার্যকর।

 

ভিটামিন সি

‘সি সেকসন’ বা ‘সিজারিয়ান’য়ের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়া মায়েদের ক্ষত সারাতে ভিটামিন সি অত্যন্ত উপকারী।

বাদাম

বাদাম মিশ্রিত শষ্যভিত্তিক নাশতা বেশ স্বাস্থ্যকর। ছোট মাপের ক্ষুধা মেটাতে এগুলো হাতের কাছে রাখুন।

ব্যায়াম

‘কেগেল’ বা ‘পিলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ’

‘কেগেল’ বা ‘পিলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ’ তলপেটের পেশিকে শক্তিশালী করে, এই পেশিগুলোই তলপেটের অঙ্গগুলোকে ধরে রাখে। সন্তান প্রসবের প্রক্রিয়ায় এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যায়। তাই মা হওয়ার পর এই ব্যায়ামগুলো বেশ কঠিন মনে হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়ামগুলো করলে ধীরে ধীরে কষ্ট কমে আসবে।

‘পেলভিক টিল্ট

‘পেলভিক টিল্ট’ এমন আরেকটি ব্যায়াম। চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন, দুই হাঁটু ভাঁজ করুন। মেঝেতে পায়ের পাতা থাকবে, এবার শুধু কোমরটাকে উপরে তুলে সোজা ধরে রাখুন দু-তিন সেকেন্ড। প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচবার এই ব্যায়ামটি করতে হবে।

পায়ের পাতা

পায়ের পাতা ঘড়ির কাঁটার দিকে ১০ বার ঘোরান, এবার বিপরীত দিকে আরও ১০ বার। শোয়া, বসা, দাঁড়ানো বিভিন্ন অবস্থায় ব্যায়ামটি করতে হবে দিনে তিন থেকে পাঁচবার।

হাঁটুর ব্যায়াম

চিত হয়ে পিঠের ভরে শুয়ে পড়ুন, এক হাঁটু ভাঁজ করুন। এবার ভাঁজ করা পায়ের গোড়ালি মাটিতে ঘষতে ঘষতে সোজা করুন। আবার একইভাবে গোড়ালি ঘষে হাঁটু ভাঁজ করুন। খেয়াল রাখতে হবে পিঠ যেন মাটির সমান্তরালে থাকে।

অ্যারোবিকস

সন্তান প্রসবের পর অ্যারোবিকস শুরু করতে পারেন। তবে শরীর তার জন্য প্রস্তুত কিনা সেটা জেনে নিয়ে তারপর শুরু করতে হবে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।

হাঁটাহাঁটি

আর সব ধরনের জটিলতা কাটিয়ে ওঠার পর শুরু করতে হবে হাঁটাহাঁটি। এবং সেটা গর্ভপাতের পরপর সুস্থ থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিছানা ছেড়ে চলাফেরা আরম্ভ করতে হবে।