নবকুমার:
বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৮তম জন্মদিন আজ শুক্রবার।
মুক্তিযুদ্ধের সময় অবরুদ্ধ ঢাকায় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির প্রথম সন্তান জয়ের জন্ম হয়। দেশ স্বাধীনের পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারত চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর ধারণাটি জয়ের উদ্যোগেই যুক্ত হয়েছিল। দেশের মানুষ এ ধারণা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছিল, যা ওই নির্বাচনে
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিল। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তরুণ এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারেও অংশ নিয়েছেন তিনি। ওই নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফরের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও বেশ ভালো প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হন তিনি।
ওই বছরের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন তিনি।
লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের একটি মেয়ে আছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আজ তেমন কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঘরোয়া পরিবেশে তার জন্মদিনের কেক কাটা হবে বলে জানা গেছে। এ অনুষ্ঠানে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে জয়ও উপস্থিত থাকবেন।