আজ রবিবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংলাপে সঙ্কট নিরসন হলে বিরোধীদলগুলো আন্দোলনে যাবে না: রিজভী

তাওসিফ মাইমুন: সংলাপের মাধ্যমে সঙ্কট নিরসন করতে পারলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলনের পথে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঙ্কট নিরসনের চাবিকাঠি প্রধানমন্ত্রীর (বর্তমান সরকার প্রধান) হাতে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীকে কালের যাত্রার ধ্বনি শুনতে হবে।’

রবিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, একদিকে আলোচনা, অন্যদিকে আন্দোলন, এটি আমার বধগম্য নয়।

গত শনিবারের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এখনও তো সেই অর্থে জোরালো আন্দোলন শুরু হয়নি। আপনি সংলাপের মাধ্যমে সঙ্কট নিরসন করতে পারলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলনের পথে যাবে না। আলোচনার আহ্বান তো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অব্যাহত আছে।

তবে আপনাকে কালের যাত্রার ধ্বনি’শুনতে হবে। এই ধ্বনি হচ্ছে বর্তমানে জনগণের দাবি- যা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবির মাধ্যমে উত্থাপন করেছে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে কোনো সঙ্কট থাকার কথা নয়। সংলাপ ফলপ্রসূ করুন, তাহলেই বিরোধী দল আন্দোলনের পথে হাটবে না। সংলাপের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের প্রতি।

বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে সংলাপ চলছে তাতে সঙ্কটের সুরাহা না হওয়ার আগেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড় করছে নির্বাচন কমিশন। যা একটি উদ্দেশ্য প্রণিত। এমনকি নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মতামতকেও অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। শনিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তফসিল পেছাতে চিঠি দেয়া হলেও ইসি সচিব তা অস্বীকার করেছেন। এবং তাদেও পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো তারা কোনো চিঠি পাননি। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আইনসঙ্গত ক্ষমতাবলে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিন। রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকুন।

বিএনপিনেতা অভিযোগ করে আরো বলেন, সারাদেশে নির্বাচনী কর্মকর্তা বাছাই করছে পুলিশ। অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বাছাই করছে। এমনকি কোনো শিক্ষক যদি বিএনপি সমর্থক হয়ে থাকে, তাকে বলা হচ্ছে আপনার নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের দরকার নেই। জনগণ সরকারের এমন কর্মকান্ডকে ভোট কারচুপির বলেই মনে করছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন সহ আরো অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।