সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক সোহেলকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রনির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সোহেল গত ২৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। নারায়নগঞ্জ শহিদ নগর ডিয়ারার কবির হোসেন ও তার ছেলে পুলিশের সোর্স কসাই রনি দুর্ধষ মাদক ব্যবসায়ী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী বলে এলাকাবাসী জানান।
কবির ও রনির নামে একাধিক বার বিভিন্ন পত্রিকায় মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। শহিদ নগর ডিয়ারার এক যুবক রাকসুকে গলা কেটে হত্যা মামলার আসামী এই কসাই রনি। একই এলাকার কালি সেলিনার বাড়ীর ভাড়াটিয়া রাদিকা কসাই রনির কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কসাই রনি রাদিকার উপর হামলা করলে রনির বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করে রাদিকা। ঐ মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খেটে বের হয়ে আবার জুলুম অত্যাচারে লিপ্ত হয় কুখ্যাত, সন্ত্রাসী, পুলিশের সোর্স কসাই রনি। এই সকল অপকর্মে সহযোগিতা করছে তার মা কালি সেলিনা ও তার সৎ বাবা কবির হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বয়স্ক এলাকার লোক বলেন- এই কবির হোসেনও পুলিশের সোর্স বলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে বাপ পুত্র মিলে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, বাপ-ছেলে পুলিশের সোর্স, কুখ্যাত রনির জেঠা জহিরুল ইসলাম ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেনের নামধারী পিএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় অসামাজিক, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। পুলিশের সোর্স বলে নারায়নগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানা যায়। বিভিন্ন মামলায় আটক, গ্রেফতার হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে পুলিশের হাত ও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়।
সাংবাদিক সোহেলের অভিযোগের তদন্ত অফিসার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত বলেন- “আইনের উর্ধ্বে কেউ না। আমার সোর্স হিসেবে মাঝে মাঝে কাজ করে। তবে অন্যায় করলে তাকে ছাড় দিবো না।
অন্যদিকে সোহেল বলেন, আজ তিনদিন অতিবাহিত হচ্ছে এনায়েত সাহেব কোন রকমের পদক্ষেপ নেয়নি, বরং আমাকে এনায়েত সাহেব নানা রকম বিভ্রান্তমূলক প্রশ্ন করছে। সোহেল আরও বলেন, সদর থানার ওসি তদন্ত মিজান সাহেব এনায়েতকে ডেকে জরুরীভাবে ব্যবস্থা নিতে বললেও এনায়েত এখানো পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মিজান বলেন- অভিযোগের আইওকে বলে দিয়েছি জরুরীভাবে ব্যবস্থা নিতে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন- অপরাধী যেই হোক তাকে কেনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সোহেল জুম্মন পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিনপাত করছে। আইনি সহযোগিতা ও মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপও কামনা করেন তিনি।