আজ রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : মন্ত্রী গাজী

নবকুমার: নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, শ্রমিকদের অবদানের কথা আমরা ভুলি নাই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তোমরা একটি শ্রমিককেও নেগলেট করতে পারবা না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখানে ভাগবাটোয়ারার কিছু নাই। প্রধানমন্ত্রী সব সময় থাকবেন। তিনি যতদিন বেচে আছেন তিনি ততদিন আমাদের মাঝে থাকবেন। সরকার প্রধান নিজেই শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন সুতরাং আমার মনে হয় শ্রমিকরা নিরাপদে আছেন ,শান্তিতে থাকবেন।

শুক্রবার সকালে সিদ্ধেশরী মন্ত্রীর বাস ভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পাটকল শ্রমিকদের ‘শতভাগ’ পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

পাটকল শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, শ্রমিক ভাইদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকতে পারে । অনেকেই মনে করছে কি পামু না পামু তার নাই ঠিক। তাদের এই হতাশা দূর করা হয়েছে। পাটকল শ্রমিকরা যে ভাবে টাকা পাবে তা সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কেউ যদি মোট ১৪ লাখ টাকা পায় নগদ- ৭ লাখ পাবে সঞ্চয়পত্র ৭ লাখ টাকার ( ১১.০৪% তিন মাসে মুনাফা ১৯,৩২০)। ২৪ লাখে নগদ-১২ লাখ পাবে- সঞ্চয়পত্র ১২ লাখ ( ১১.০৪% তিন মাসের মুনাফা ৩৩,১২০)। ৩৮ লাখে নগদ ১৯ লাখ -সঞ্চয়পত্র ১৯ লাখ( ১১.০৪% তিন মাসে মুনাফা ৫২৪৪০)। ৫৪ লাখে নগদ ২৭ লাখ পাবে -সঞ্চয়পত্র ২৭ লাখ( ১১.০৪% তিন মাসে মুনাফা ৭৪৫২০)।

শ্রমিক ভাইয়েরা রানিং মাসের মায়না নিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খেলে যাবেন। পর্যায়ক্রমে আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা চলে যাবে। এর পর বাজেট ক্লিয়ারেন্স হবে। সরকারি টাকা মাঝখানে কোনো দালাল নেই । সুতরাং আপনারা বুঝতে পারছেন শ্রমিকদের জন্য যেটা ভালো আমরা সেটাই করছি। গোল্ডে হ্যান্ডশেক যেটা সেটারও সুযোগ সুবিধা তারা পাবেন। পুরুষ আর মহিলা মিলেই করেছি। নইলে অধেক টাকায় পারতাম। আগে আড়াই হাজার টাকা ছিলো পরে ৫ হাজার টাকা করেছি। প্রয়োজনে আরো দেব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বলেছে গাজী শ্রমিকরা কিন্তু আমাদের লোক। আপনেরা দেখেন প্রধানমন্ত্রীর কত মায়ের মত কণ্ঠ। পিতার মতো তিনি মানুষকে ভালোবাসেন। বিশেষ করে তিনি পাটকে বেশি ভালোবাসেন। এই পাট নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমাদের পাটের টাকায় তোমরা করাচি থেকে ইসলামাবাদের উন্নয়ন করেছো। আমার টাকা আমার দেশে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফায় পাটের কথা ছিলো। পাটের জন্য শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর সাথে আন্দোলন করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী চোখের পানি ফেলেছে ( কান্না করেছে) তাই শ্রমিকদের পাটকল কোনোদিন আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হতে দেবো না।

তিনি বলেন, শ্রমিক ভাইরা আধেক টাকা নগদ পাবেন। বাকী আধেক টাকা সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে পাবেন। সেটারও মুনাফা পাবেন। শ্রমিকভাইরা টাকা একবারে খেতে পারবে না। তারা ভাঙ্গিয়ে ভাঙ্গিয়ে খাবে। যাতে কোনো শ্রমিক বলতে না পারে এ সরকার আমাদের কি দিয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্ত। শ্রমিকভাইদের সৌভাগ্য তারা সঞ্চয়পত্র পাচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মন্ত্রী বলেন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য ব্যাংক হিসাব নম্বর অবিলম্বে বিজেএমসিকে জানাতেও অনুরোধ জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, শ্রম চাহিদা যত বাড়বে, শ্রমিকের মুজুরি ততবাড়বে। পুরনো টেকনোলজি দিয়ে আমাদের কারখানা টিকতে পারবে না। তাই আমাদের পাটকলগুলো আধুনিক করতে হবে। জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান ও একজন শ্রমিক নেতা বক্তব্য রাখেন। এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।