আজ শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লায় গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের মানবন্ধন

শ্রমিক ফ্রন্টের মানবন্ধন

শ্রমিক ফ্রন্টের মানবন্ধন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিরাপদ কর্ম পরিবেশ ও আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, দূর্ঘটনায় দায়ী মালিকসহ সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ২৪ এপ্রিলকে গার্মেন্টস শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা, ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। সোমবার সকালে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরীফের সভাপতিত্বে টাগারপাড়ে এ মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক, দপ্তর সম্পাদক কামাল পারভেজ মিঠু, বিসিক শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সাইদুর, গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসনাত কবীর, সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ৪০লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকসহ সমস্ত শ্রমজীবি মানুষের জন্য এক ভয়াবহ শোক ও বেদনার দিন। এখন থেকে ৪ বছর পূর্বে সাভারে রানা প্লাজা ভবন ধ্বসে ১১৩৭জন নিহত, ২৫০০ জন পঙ্গু ও ৩ শ’ শ্রমিক নিখোঁজ হয়। মালিকের অবহেলায় গার্মেন্টস শিল্পে সারা দুনিয়ায় এতবড় হত্যাযজ্ঞ আর হয়নি। আর এই হত্যাকান্ডের জন্য দায়ীদের বিচার কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি।
ভবনের মালিক কারাগারে থাকলেও গার্মেন্টস মালিক ও দায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নিহত-আহত শ্রমিকদের সরকারী ত্রান তহবিল, আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে দান অনুদান দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ কোন দান নয় অধিকার।
মালিকের সমস্ত সম্পত্তি ক্রোক করে হলেও নিহত আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১৮৫৫ সালের Fatal accident Act অনুযায়ী তার Loss of earning বিবেচনা করলে প্রত্যেক শ্রমিক ন্যূনতম ৪৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে। আর কোনও রানা প্লাজা দূর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য মালিকসহ দায়ী সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ২৪ এপ্রিল গার্মেন্টস শ্রমিক শোক দিব ঘোষণা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৮০০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে বলেন, জিডিপি ৭ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ১৬১০ ডলারে উন্নিত হয়েছে এবং এটা ক্রমবর্ধমান। জাতীয় আয় এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালনকারী শ্রমিকদের মজুরি তার সাথে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ হবে এটা একটি যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশা।