নিজস্ব প্রতিবেদক:
পানির অপর নাম জীবন। মানব দেহে ৭০ ভাগ পানির প্রয়োজন। জাপানি চিকিৎসকদের একটি দল নিশ্চিত করেছেন, মাইগ্রেন, উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করতে শতভাগ কার্যকরী গরম পানি। এ তালিকায় আছে জয়েন্টে ব্যথা, মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টরেল, গেঁটে ব্যথা, মৃগীরোগ, হাঁপানি, হুপিং কাশি, পাকস্থলির সমস্যা, ক্ষুধামন্দা, চোখ, নাক, কান ও গলার সব সমস্যা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি।
যেভাবে ব্যবহার করতে হবে গরম পানি
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পাকস্থলি খালি থাকে। ঘুম থেকে উঠার পর দুই গ্লাস গরম পানি পান করতে হবে। শুরুতেই ঘুম থেকে উঠার দুই গ্লাস গরম পানি পান করা কঠিন হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে আপনি পারবেন।পানি পান করার ৪৫ মিনিটের মধ্যে কিছু খাওয়া যাবে না। এ নিয়মিত করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দূর হবে বিভিন্ন রোগ। যেমন:
ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ (৩০ দিন)
পাকস্থলির সমস্যা (১০ দিন)
সব ধরনের ক্যান্সার (৯ মাস)
ক্ষুধামন্দা (১০ দিন)
নাক, কান ও গলার সব সমস্যা (১০ দিন)
নারীদের নানা ধরনের সমস্যা (১৫ দিন)
হৃদরোগ (৩০ দিন)
মাথা ব্যথা/মাইগ্রেন (৩ দিন)
কোলেস্টরেল (৪ মাস)
হাঁপানি (৪ মাস)
মৃগীরোগ ও পক্ষাঘাত (৯ মাস)
জরায়ু ও এ সংক্রান্ত সমস্যা (১০ দিন)
শিরায় বাধা (৬ মাস)
ঠাণ্ডা পানি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। তরুণ বয়সে এটা কোনো প্রভাব ফেলে না তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ঠাণ্ডা পানি ফুসফুসের ৪টি শিরা বন্ধ করে দেয়। ঠাণ্ডা কোমল পানীয়ও হৃদরোগের জন্য দায়ী। এটা যকৃতকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। পাকস্থলীকেও ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ঠাণ্ডা পানি।