নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাসদাইর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে শ্মশানের মাটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। তার অভিযোগ, শ্মশানের মাটি তার বাবা-মা-ভাই ও স্বজনদের কবরে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে মাসদাইরে কেন্দ্রীয় সিটি কবরস্থানে আসেন সাংসদ শামীম ওসমান। তিনি কবরস্থান মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও পুকুরের সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের সাথে কথা বলেন। শ্মশানের পাশের পুকুরের মাটি তার স্বজনদের কবরে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি গত ২৭ জুলাই আলী আহাম্মদ চুনকা সাহেবের কবর জিয়ারত করতে আসি। তখন সংস্কার কাজ চলছিল। আমার বাবা-মা এবং ভাইয়ের কবরের পাশে মাটিগুলো স্তুপ করে রাখা হয়েছিল। এই কবর আমি নিজের হাত দিয়ে বানিয়েছি। আমি যে জায়গায় দাড়িয়ে কথা বলছি তখনো এই জায়গাটি ৩ ফিট নিচে ছিলো। আমি কাউকে দোষারোপ করবো না, এই কাজটা সিটি করপোরেশনের তা আমি বলবো না। আমি মনে করি এই কাজটা কোনো মানুষ করতে পারে না। এটা ইবলিশ ওরফে শয়তান মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে এই কাজটি করিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মাটিগুলোতো রাস্তার পাশেও রাখা যেতো! এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা, ভাষা সৈনিকরা শায়িত আছেন। আমি অনুরোধ করবো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো, এর জন্যে যারা দায়ী তারা যেন কবরগুলোকে আগের অবস্থাতে ফিরিয়ে আনে।’
শামীম ওসমান বলেন, আমি মুসলমান। আমি চেষ্টা করি আল্লাহর সব বিধান মেনে চলতে। আমি কিন্তু বলি না আমি ফেরেশতা। এখানে আমাদের পূর্বপুরুষদের কবর। আমরা সংস্কার করি, আমরা ঠিক করি। এই পুকুরের পানিতে কিন্তু হিন্দু ধর্মালম্বীরা মরদেহ দাহ করে ছাইটা ফেলতেন। আমরা যেমন চাইবো না কবরস্থানের মাটি শ্মশানে নিয়ে রাখা হোক। এটাতো উচিতও না।’
এ সময় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মাটি অপসারণের জন্যে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যা জানানোর সিটি করপোরেশনকে জানিয়েছি। বাকি কাজ আপনাদের করতে হবে। যে অবস্থায় কবরগুলো ছিল ওইভাবে কবরগুলো ঠিক করবেন।’ সাংসদের এই নির্দেশনার পরপরই শ্রমিকদের মাধ্যমে মাটি অপসারণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল মিজান কন্সট্রাকশনের মালিক মিজানুর রহমান।